বাদী না চিনলেও হত্যা মামলায় জেল খাটছেন তিনি

0

পটুয়াখালীর দশমিনায় বাদী না চিনলেও হত্যা মামলায় নিরপরাধ এক ব্যক্তিকে জেল খাটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। উপজেলার আলোচিত হাফসা বেগম (১৯) হত্যা মামলায় মো. মনির সরদার নামের এক ব্যক্তি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জেল খাটছেন। অথচ তাকে মামলার বাদীই চেনেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। সে সঙ্গে মামলায় তার নামও উল্লেখ নেই। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার না করা ও মনিরকে জেলে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন মামলার বাদী নিজেই।

সূত্র জানায়, উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের শাজাহান মৃধার মেয়ে হাফসা। মানসিক সমস্যা থাকায় হাফসার কর্মকাণ্ডে তার ভাবী আয়শা আক্তার নিপা ও ভাবীর মা রাশিদা বেগমের সঙ্গে পূর্ববিরোধ ছিল। ২১ জানুয়ারি রাতে রাশিদা মানসিক রোগের চিকিৎসার কথা বলে উপজেলার কাটাখালী গ্রামের কবিরাজ নুর জাহান বেগমের সহায়তায় হাফসার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর ছয়দিন পর চিকিৎসাধীন হাফসা মারা যান।

এ ঘটনায় হাফসার মা লুৎফুন্নেছা বেগম নুরজাহানকে প্রধান অভিযুক্ত করে, রাশিদা ও তার ছেলে পারভেজের নামে অভিযোগ দিলে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। ৩১ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ।

সংবাদ প্রকাশের পরদিনই মামলা এজাহারভুক্ত করে দশমিনা থানা পুলিশ। পরে পুলিশ নুরজাহান ও তার দ্বিতীয় স্বামী মনির, হাফসার ভাবি নিপাকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে হত্যার সময় মনির তার কর্মস্থল দশমিনা সদরের ফলের দোকানে ছিলেন। নিু আয়ের মনির বিনা অপরাধে জেলহাজতে থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তার পরিবার।

মামলার বাদী লুৎফুন্নেছা যুগান্তরকে বলেন, তিনি মনির সরদারকে কখনও দেখননি। চেনেনও না। অভিযোগে মনিরের নাম উল্লেখ করেননি। রাশিদাকে দ্বিতীয় আসামি করেছিলেন। অথচ পুলিশ তাকে তিন নম্বর আসামি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পুলিশ প্রভাবিত হয়ে রাশিদা বেগমকে গ্রেফতার করছে না। তিনি ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত।

দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান যুগান্তরকে বলেন, বাদীর অভিযোগ সঠিক না। মামলার তদন্ত চলছে, শেষ হলেই যে বা যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হবে।

উৎসঃ   যুগান্তর
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More