বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের ৬২টি কনস্যুলার অ্যাকাউন্ট থেকে পৌনে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা পড়েনি। খরচ করে ফেলা হয়েছে কর্মকর্তাদের ইচ্ছে মতো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে বিষয়টি উদ্ঘাটিত হলেও এ ‘খরচ’কে ‘যুক্তিযুক্ত’ আখ্যা দিয়ে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে গুরুতর এই দুর্নীতি। আইনজ্ঞরা বলছেন, এটি সরাসরি আত্মসাৎ। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা সন্দেহাতীতভাবেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র তফসিলভুক্ত অপরাধ।
এদিকে একের পর এক দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ এবং সংশ্লিষ্টদের দায়মুক্তি প্রদানের কড়া সমালোচনা করেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দীর্ঘ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের নিয়ম লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি প্রদানের বহু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে এতে বলা হয়, যেসব কর্মকর্তা বা নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন বা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছেন তাদেরকে শনাক্ত করা, তদন্ত করা, বিচারের আওতায় আনা এবং শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার খুব কমই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৬২টি মিশন ছিলো। বর্তমানে এই সংখ্যা ৮১টির মতো। মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য ভিসা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট ইস্যু ও নবায়ন সেবা দিয়ে থাকে। মিশনগুলো পরিচালিত হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। প্রতিটি মিশনে রয়েছে ভিসা ও পাসপোর্ট সেকশন। এ সেকশনটি পরিচালিত হয় বাংলাদেশ বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে। পৃথক ২টি দফতর অভিন্ন অফিসে হলেও নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতা নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের কাছে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর বিদেশি মিশনের মাধ্যমে ভিসা-পাসপোর্ট ইস্যু করলেও এ বাবদ কোনো অর্থ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরিশোধ করেনি। বিষয়টিকে দুই মন্ত্রণালয়ের নিছক ‘সমন্বয়হীনতা’ বলে চিহ্নিত করে গুরুতর অপরাধটিকে গৌণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দেয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে পাসপোর্ট ও ভিসা ফিসহ অন্যান্য আয় এবং মিশন পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত অর্থ একটি অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এটি ‘ইমপ্রেস্ট অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে পরিচিত। এ অ্যাকাউন্ট থেকেই মিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তবে পাসপোর্ট ও ভিসা ফিসহ অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়ের হিসাব পৃথকভাবে সংরক্ষণ করা হয়। যা পরবর্তীতে ইমেপ্রেস্ট প্রদান করা হয়। অধিকাংশ মিশনের ইমপ্রেস্ট অনেক আগে নির্ধারিত হয়েছে। মিশনসমূহের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমেই মিশনের কনস্যুলার আয়সমূহ বুক অ্যাডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়। এটি একিট স্বীকৃত পন্থা। যা মিশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। অর্থ বিভাগ এবং প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে এ যাবৎ কোনো আপত্তি উত্থাপিত হয়নি।
২০১৬ সালের ২৮ জুলাই এবং একই বছর ২৩ আগস্ট পৃথক দু’টি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসব সভায় বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের আয়ের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান নিশ্চিতকরণের সাথে পরস্পর সম্পর্কিত যেসব ক্ষেত্রে পরিবর্তন/সংস্কার/পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রেসমূহ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণ এবং করণীয় সম্পর্কে একটি কমিটি গঠন করার মতামত ব্যক্ত হয়। এ কমিটিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, মহা-হিসাব নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় (পররাষ্ট্র বিষয়ক) এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার অভিমত প্রকাশ করা হয়।
তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব (ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা) মো. এখলাসুর রহমানের সভাপতিত্বে ২০১৬ সালের ২৮ জুলাই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রতিনিধি জানান, বাংলাদেশের সংবিধান ও বিদ্যমান আর্থিক বিধি-বিধানমতে কোনো সরকারি দফতর কর্তৃক সরকারের পক্ষে আদায়কৃত সকল অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের ক্ষেত্রেও এ বিধান প্রযোজ্য। তাই মিশনসমূহে পাসপোর্ট ও ভিসা ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি কোষাগারে জমা প্রদান করার কথা। কিন্তু বিদেশস্থ মিশনসমূহের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রতিপালিত হচ্ছে না।
একই বৈঠকে অবশ্য মিশনগুলোর অর্থ ব্যয়ের স্বেচ্ছাচারিতার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি তৎকালীন পরিচালক (অর্থ)। তিনি উল্লেখ করেন, মিশনের আয়ের অর্থ সরাসরি ব্যয় করার চর্চাটি দীর্ঘদিন ধরেই চলমান রয়েছে। তবে এর সপক্ষে কোনো আদেশ না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে এ কর্মকর্তা দাবি করেন, এটি একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। সুতরাং মিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী ইমপ্রেস্টের পরিমাণ বাড়ানো এবং বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর দীর্ঘসূত্রিতা অবসান না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান পদ্ধতি চলমান রাখার পক্ষেও মত দেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (অর্থ) আরো বলেন, মিশনের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সকল হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং প্রতি মাসে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কার্যালয়ে ক্যাশ স্টেটমেন্ট পাঠানো হয়। পাসপোর্ট ও ভিসা খাতে আয়ের বিবরণী বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে প্রেরণ করা হয়। অভ্যন্তরীণ আয় ও ব্যয়ের হিসাব কঠোরভাবে মনিটরিং করা হয়। এ ছাড়া নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিটি মিশন প্রতিবছর অথবা প্রতি দুইবছর অন্তর নিরীক্ষণ করা হয়।
এদিকে পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়, ২০১০ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দিচ্ছে। এমআরপি চালুর পর ২০১৬ পর্যন্ত ২৫ লাখ ২ হাজার ২৫৪টি পাসপোর্ট ইস্যু এবং নবায়ন করে। কিন্তু বিভিন্ন মিশনে অবস্থিত ভিসা ও পাসপোর্ট ইস্যু বাবদ আদায়কৃত রাজস্বের কোনো রেকর্ডপত্র পাসপোর্ট অধিদফতরের কাছে নেই। ফলে এ বাবদ কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে- তারও কোনো হিসাব নেই। মিশনগুলোতে ভিসা ও পাসপোর্ট খাতে আদায়কৃত রাজস্বের পূর্ণাঙ্গ কোনো তথ্য পাসপোর্ট অধিদফতরকে দেয়া হয়নি। তবে প্রতিটি মিশনের জন্য একটি ‘কনস্যুলার অ্যাকাউন্ট’ রয়েছে। এ অ্যাকাউন্টে মিশনের ব্যয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এবং পাসপোর্ট ও ভিসা ফিসহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ রাখা হয়। কনস্যুলার অ্যাকাউন্টে রক্ষিত অর্থ থেকেই মিশনের ব্যয় নির্বাহ করা হচ্ছে। যা দেশের সংবিধান ও বিদ্যমান আর্থিক বিধি-বিধান বহির্ভূত। আর্থিক বিধান মতে, কোনো সরকারি দফতরের মাধ্যমে আদায়কৃত সব অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর ক্ষেত্রেও এ বিধান প্রযোজ্য। মিশনের মাধ্যমে আয়কৃত অর্থও সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আয়কৃত কোনো অর্থই সরকারি ট্রেজারিতে জমা পড়েনি। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে- কোথায় গেলো এতো টাকা?
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে দীর্ঘ দিন মিশনগুলো একটি মাত্র ‘কনস্যুলার অ্যাকাউন্ট’ ব্যবহার করছে। আয় এবং ব্যয়ের টাকার উৎস একটিমাত্র অ্যাকাউন্ট। পরবর্তীতে আয়কৃত টাকা ইমপ্রেস্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। ১৯৭২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত আদেশ অনুসারে মিশনগুলোর জন্য ইমপ্রেস্ট নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে মিশনগুলোতে সর্বোচ্চ ৩ মাসের ব্যয় নির্বাহের টাকা সংরক্ষিত থাকে। তবে মিশনের কার্যক্রম ভেদে ইমপ্রেস্টের পরিমাণ কম-বেশি নির্ধারিত হয়। মিশনের বৃহৎ ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে কনস্যুলার অ্যাকাউন্টের অর্থও অনেক সময় যৎসামান্য। বিশেষতঃ ভিভিআইপিদের কোনো সফর থাকলে সেটির ব্যয় নির্বাহের জন্য বিশেষ রেমিট্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। এসব যুক্তিতে মিশনের মাধ্যমে আয়কৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না করে ইচ্ছে মাফিক নিজেরাই ব্যয় করে আসছেন মিশনের কর্মকর্তারা। আর্থিক বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই পরিস্থিতি। আয়কৃত অর্থ ইচ্ছেমাফিক নিজেরাই ব্যয় করতে পারবেন- এই মর্মে নেই কোনো নির্দেশনা। ফলে রাজস্ব আয় এবং সেই রাজস্ব থেকেই নিজেদের ইচ্ছেমাফিক ব্যয় করার বিধান চালু হয়েছে-এমন কোনো দাফতরিক প্রমাণও নেই।
বলা চলে, বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোতে আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ, বিধি-বিধান প্রতিপালনে চলছে এক নৈরাজ্য। মিশন থেকে মাসিক ভিত্তিতে আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন হিসাব সংরক্ষণ কার্যালয়ে পাঠানোর কথা। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্টিগ্রেটেড বাজেটিং অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (ওইঅঝ) ডাটা এন্ট্রি দেয়ারও বিধান রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব সংরক্ষণ (অর্থ) বিভাগ জানিয়েছে, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে ইমেপ্রেস্ট যথাসময়ে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। জনবল বাড়ানো হলে মিশনগুলোর জাহিদানুগ ইমপ্রেস্ট পাঠানোর ঞরসব খধম হ্রাস করা সম্ভব। ২০১৭ সালে বিষয়টি উদ্ঘাটিত হওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ৬ বছর হতে চললেও সংস্থাটি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়নি।
এদিকে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলোতে অর্জিত রাজস্বের টাকা ব্যয় করার বিষয়ে সংবিধানের ৮৪ (১) নং অনুচ্ছেদ পরিপন্থি। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই মিশনগুলোতে পাসপোর্ট ও ভিসা ফি’ বাবদ আদায়কৃত সমুদয় অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করা আবশ্যক।
অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মঈদুল ইসলাম বলেন, এটি শুধু সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিকই নয়। এটি দ-বিধির ৪০৯ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ। কারণ, প্রথমতঃ এ অর্থ নিজেরা ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নেয়াটাই বিধিবহির্ভূত। দীর্ঘদিন চলে আসা প্রথা কিংবা চর্চা দিয়ে তো সরকারি অফিস চলে না। নিজেদের আদায়কৃত অর্থ নিজেরাই ব্যয় করা যাবে- এমন কোনো সিদ্ধান্ত অর্থ বিভাগ তথা সরকার তাদের দিয়েছে কি না। যদি না দিয়ে থাকেন তাহলে এটি পরস্পর যোগসাজশ, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি আত্মসাৎ। সরকারি অর্থ ব্যয়ে বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্যকোনো উপায়ে ব্যয় হলেই এটি ক্ষমতার অপব্যবহার ও আত্মসাৎ। আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টরা যাবজ্জীবন কারাদ-, অর্থদ- কিংবা উভয়দ-ে দ-িত হতে পারেন। অভিযোগটি গুরুতর। তফসিলভুক্ত অপরাধ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিৎ অনুসন্ধান ও তদন্ত করে দেখা।