৮ মার্কেট ভেঙে ফেলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ, গ্যাস পানি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নে চিঠি

0

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পরিত্যক্ত আটটি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বুধবার ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এগুলো হচ্ছে- গুলশান উত্তর কাঁচা মার্কেট, গুলশান দক্ষিণ পাকা মার্কেট, মোহাম্মদপুর কাঁচা বাজারের প্রথম ও দ্বিতীয় তলা, রায়েরবাজার মার্কেট, কাওরানবাজার ১ নম্বর মার্কেট, কাওরানবাজার ২ নম্বর মার্কেট, কাওরানবাজার অস্থায়ী কাঁচা মার্কেট (কিচেন মার্কেট), কাওরান বাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট ভবন ‘অতি নাজুক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মার্কেটগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে এসব মার্কেটে এখনো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ডিএনসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ওইসব মার্কেটের গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগ যেন অতি দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মার্কেটগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে যেতে চান না, তারা আদালতেও গেছেন। কিন্তু ভবনগুলো অনিরাপদ থাকার কারণে আগুনের ঝুঁকি, ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে পরিত্যক্ত ভবন ভেঙে ফেলার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। আমরা ভবনগুলোতে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ভবন থেকে ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা যদি না সরেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা সরিয়ে দেবেন। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে মূলত আমরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দ্রুত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া মার্কেট ভেঙে ফেলা হলেও ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য মার্কেটগুলোর আশপাশের খোলা জায়গা চিহ্নিত করে শেড করে দেওয়া হবে এবং সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

গত মাসে বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবং নিউ মার্কেটের আগুনের পর পরিত্যক্ত এসব মার্কেটের ভবন ভাঙতে তৎপর হয় ঢাকা উত্তর সিটি। মেয়র আতিকুল ইসলাম সে সময় বলেছিলেন, ঈদের পর পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হবে।

উৎসঃ   যুগান্তর
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More