‘নৌকার বিজয়ে উচ্ছ্বাস’, প্রিসাইডিং অফিসারের স্ট্যাটাস ভাইরাল

0

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ মুফিজুল ইসলাম বিপ্লব। ভোটের পর নৌকার মেয়র প্রার্থীর বিজয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সরাসরি কাজ করেছেন মুফিজুল ইসলাম বিপ্লব।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়। বিপ্লব হোসাইন নামের তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে তিনি লেখেন,‘আলহামদুলিল্লাহ! আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে ইভিএমএ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নৌকার বিশাল বিজয়। মোট ৮১ শতাংশ ভোট কাস্টিং-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হলো আড়াইহাজার এক নম্বর ওয়ার্ডের বিশাল বিজয়!!!’

তিনি পৌরসভা নির্বাচনে কামরানীর চর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে নির্বাচনের দিন তার কেন্দ্রে গেলে দেখা গেছে দুটি বুথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের জগ প্রতীকের ও মেহের আলীর পক্ষে কোনো এজেন্ট ছিলেন না। তখন হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেছিলেন সেখান থেকে তার এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই বুথের নৌকার এজেন্ট আব্দুর রশিদ দাবি করেছিলেন পরাজয় নিশ্চিত জেনে জগ প্রতীকের কোনো এজেন্ট এই বুথে দায়িত্ব পালন করতেই আসেননি।

এদিকে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা পোস্টে আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন পোস্টও দেখা গেছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমানের অভিযোগ বিপ্লব নিজেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে চলাচল করেন।

মফিজুল ইসলাম বিপ্লব উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। তার কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন দুই হাজার ২৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক হাজার ১১৩ ও নারী এক হাজার ১২৬ জন।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মুফিজুল ইসলাম বিপ্লবের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে ৩০ মে রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সুন্দর আলীকে জেতাতে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ১০-১২ জন স্কুল ও কলেজ শিক্ষককে নিয়ে সভা করার অভিযোগ উঠেছিল। অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন এসব শিক্ষকরা। নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনে কাজ করার শপথ নেন তারা। এ প্রচারণা সভা আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুন্দর আলীর ফেসবুকে লাইভ প্রচার হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার পর যাদের নাম ভাইরাল হয়েছিল তাদেরকে নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে পৌরসভার ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এবারের ভোট হয়েছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে।

ভোট গণনা শেষে রাতে নৌকার প্রার্থী সুন্দর আলীকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।

উৎসঃ   বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More