জিরো ফিগারের নায়িকারা থাকছেন না বলিউডে!

0

Ziroবলিউডের নায়িকা- এ কথাটা চিন্তা করলেই মানস পটে ভেসে ওঠে পাতলা ছিপছিপে চিকন কোমরের ষোড়শী এক নারীর অবয়ব। অনেকটা র‌্যাম্প মডেলদের মতো দেখতে। জিরো ফিগারের এই সব নায়িকাদের দেখে মনে হয়, একটা ঝড় এলে আচমকা উড়িয়ে নিতে পারে তাদের। কিন্তু এখন যুগ পাল্টেছে, সেই সঙ্গে পাল্টাচ্ছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের দর্শক চাহিদা। দর্শকদের ভিন্ন স্বাদ দিতে তাই বলিউডের নির্মাতারা বেছে নিচ্ছেন তুলনামূলক মেদসম্পন্ন নায়িকাদের। বলিউডের মেদসম্পন্ন নায়িকাদের তালিকা মেলে ধরলে প্রথমেই আসবে সোনাক্ষী সিনহার নাম। কারণটাও খুব সহজ, চুলবুল পান্ডের হাত ধরে বলিউডে আসা আগে সোনাক্ষীর ওজন ছিল ৯০ কেজি। এরপর ‘দাবাং’ ছবিতে অভিনয় করারজন্য প্রায় ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। তাই বলে জিরো ফিগারের তকমাধারী হতে চাননি। ‘দাবাং’ ছবিতে দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পর সোনাক্ষী একে একে ‘রাওড়ি রাঠর’, ‘দাবাং টু’ এর মতো ব্যবসা সফল ছবিতে কাজ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে প্রভুদেবার ‘অ্যাকশন জ্যাকসন’ ছবিটি। সোনাক্ষীর ভক্তদের আশা এই ছবিতেও নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে মেলে ধরবেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বিদ্যা বালানের পরিচয় ছিল জিরো ফিগারের নায়িকা হিসেবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও বদলে নিয়েছেন নিজেকে। এখন কেউ তার ওজন জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, ‘এটা তো জাতীয় ইস্যু’। বিদ্যার ফিগারের কারিশমা শুরু মূলত ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডার্টি পিকচার’ ছবির মাধ্যমে। বলিউডের বুড়ো কালের হিরোখ্যাত নাসিরউদ্দিন শাহর সঙ্গে দারুণ খোলামেলা অভিনয় করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এই ছবিতে যতটুকু না অভিনয় করেছেন, তারচেয়ে বেশি নিজেকেই উপস্থান করেছেন তিনি। তাই দিন শেষে বিদ্যার ক্যারিয়ারের ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। সেবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। খুব শিগগিরই বিদ্যা বালান অভিনীত ‘শাদি কি সাইড ইফেক্ট’ ও ‘ববি জেসস’ ছবি দুটি মুক্তি পেতে চলেছে। ভক্তদের আশা এই ছবি দুটোতেও বিদ্যাকে মৃদু মেদযুক্ত নায়িকা হিসেবেই দেখা যাবে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের চমক এখন সানি লিওন। একসময় পর্নো তারকা হিসেবে খ্যাত হলেও, এখন হিন্দি ছবির খোলামেলা অভিনেত্রী হিসেবেই বেশি পরিচিত তিনি। তবে এরই মধ্যে নিজের যোগ্যতার প্রমাণও রেখেছেন তিনি। ২০১২ সালে ‘জিসম টু’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। তখন একটু মেদী নায়িকা হিসেবে অনেকেই সানিকে মেনে নিতে পারেননি, কিন্তু সময়ের পালে হাওয়া লাগার সঙ্গে সঙ্গে দর্শক চাহিদাও বদলে গেছে। ফলস্বরূপ পর্নোস্টার সানি লিওনের কপাল খুলে গেছে। তাই সানি অভিনীত ‘জ্যাকপট’ ও ‘রাগীনি এমএমএস’ ছবি দুটি দর্শকের মন টানতে সময় লাগেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More