ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত ১০টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এমনকি কিছু কিছু ওয়ার্ডেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার সকালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
শনিবার রাতে চানখাঁরপুল এলাকায় ছয়জন চিকিৎসকের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর চিকিৎসকদের বিক্ষোভে মধ্যরাতে উত্তেজনা দেখা দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হামলার শিকার চিকিৎসক ফজলে বারী জানান, তারা পাঁচ-ছয়জন মিলে চানখাঁরপুলের একটি হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদের ঘিরে ফেলে একদল তরুণ জিজ্ঞাসা করেন, তারা ইন্টার্ন চিকিৎসক কি না?
তিনি জানান, ‘আমরা ইন্টার্ন নই, তবে আমরা চিকিৎসক। এর পরপরই তারা আমাদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে আমরা কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে আসি।’
ফজলে বারী বলেন, পালানোর সময় চিকিৎসক মমিনুলকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা রাতেই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেন। তবে আধা ঘণ্টা পর তা আবার খুলে দেওয়া হলেও চিকিৎসাসেবা প্রদান থেকে বিরত থাকেন চিকিৎসকরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার লিফটে ওঠা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে পেটান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র কিছুক্ষণ পর হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালান।
এর প্রতিবাদে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ওই দিন সাড়ে তিন ঘণ্টা মেডিকেল কলেজের ফটক বন্ধ করে রাখেন। এতে রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।