বিয়ে বিয়ে দিতে হবে। তবে সেজন্য দরকার যৌতুক। তাই ভারতের ‘হস্তিমানব’ মান্নান মণ্ডল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিরাময়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। মারাত্মক যন্ত্রণা সহ্য করেও ২০ বছর বয়স্কা মেয়ে রাশিদার মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি।
ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং এর আশপাশের জনসমাগমপূর্ণ স্থান এবং মসজিদ-দরগায় ভিক্ষা করেন ৫০ বছর বয়সী মান্নান মণ্ডল। এ দিয়েই (৮ ডলারের মতো আয়) তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের সংসার চলে।
‘নিউরোফিব্রোম্যাটোসিস’ নামে এক ধরনের রোগে তার এই হাল হয়েছে। এ থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার হওয়ারও আশঙ্কা আছে। ইতোমধ্যেই তার একটি চোখ, একটি কান এবং বেশির ভাগ দাঁত হারিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, মেয়ের বিয়ের জন্য তাকে অনেক কিছু কিনতে হবে- বিছানাপত্র, আলমিরা, কানের দুল, ঘড়ি, আর বরের জন্য একটা সাইকেল। এগুলো সংগ্রহের অন্য কোনো উপায় নেই তার।
তিনি দিল্লিসহ সারা ভারত ঘুরে বেড়ালেও জন্ম পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায়। শৈশব থেকেই তিনি শারীরিক এই সমস্যা মোকাবিলা করে আসছেন। স্কুলেও যাওয়া তার নিষিদ্ধ হয়ে যায় এই কারণে। ভিক্ষাবৃত্তিই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। থাকেন ফুটপাতে।
তবে তাই বলে জীবন থমকে থাকেনি। তার জীবনেও ভালোবাসা এসেছিল। বিয়ে করেছেন। এ কারণেই তিনি দুই সন্তান আর দুই মেয়ের গর্বিত বাবা তিনি। তবে তাদের কেউ এই রোগ পায়নি। তারাও তাকে সহায়তা করে থাকে।
এই রোগের জন্য তার মনে কোনো দুঃখ নেই। মনে করেন, সবই হয় আল্লাহর ইচ্ছায়।
তবে গত মাসে প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ ড. অজয় কশ্যপ বিনা মূল্যে তার অস্ত্রোপচার করে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল।