ঢাকা: ১৫ দিনের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রায় চার মাস হলেও প্রত্যাহার না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি মেহেদী হাসান। গত ১৩ মে তিনি তার ফেইসবুকে এ খোলা চিঠি লিখেন।
মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ করে বাংলামেইলকে বলেন, ‘বেশ কয়েক মাস আগে একটি মিথ্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আমাকে সাময়িকভাবে হল সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করে। কিন্তু সেই কথিত সাময়িক বহিষ্কার চার মাস পার হলেও তা প্রত্যাহার করা হয়নি।’ তবে কারা তাকে বহিষ্কার করেছে সে বিষয়টি পরিষ্কার করেননি তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করছি সময় যতোই যাচ্ছে ততোই আমার প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। ১৫ দিনের সাময়িক বহিষ্কার না তুলে নেয়া মানে ঘটনার পেছনে আরো ঘটনা আছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। তাই মনের কষ্ট জানাতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে খোলা চিঠি লিখেছি। আমি জানি, হয়তো আমার আবেদন নেত্রীর কাছে পৌঁছবে না। তবুও লিখেছি কারণ অসহায়ের পাশে সব সময় তিনিই থাকেন।’
পাঠকদের জন্য মেহেদী হাসানের ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি সরাসরি তুলে দেয়া হলো-
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা এর নিকট সবিনয়ে আবেদন, তথাকথিত কাল্পনিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে, একজন দায়িত্বশীল নেতার নিজের কলমের ক্ষমতা দেখাতে এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল ও নিজর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করতে গত দুই মাস আগে আমাকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী এসএম হল শাখা ছাএলীগ সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত বহিষ্কার উঠানোর কোনো পদক্ষেপই নেয়া হয় নাই। বরং আমাকে বার বার নানা হুমকি দেয়া হচ্ছেই। আমি ঐসব চুনোপুঁটির হুমকিতে মোটেও ভীত নই, কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, ঐসব মেরুদণ্ডবিহীন কোন বড় ভাই এর সৈনিক নয়। আমি ছাত্রলীগের একজন নগন্য শুভাকাঙ্ক্ষি হিসেবে আপনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি পিকক বারে হামলার দায়ে এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে মেহেদী হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।