ঢাকা: ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচেরা যেন রাগী হেড মাস্টার! আর ফুটবলাররা তাদের আনকোরা ছাত্র! ভাবখানা এমন যে এই ফুটবলাররা ভাজা মাছ উল্টেও খেতে জানেন না!
তাই বিশ্বকাপে গিয়ে ফোকাস ঠিক রাখতে ফুটবলারদের কীভাবে চলতে হবে তার কঠিন সব নির্দেশনা তৈরি করছেন কয়েকটি দেশের কোচ। এ রকমই একটি কঠিন নির্দেশনা বিশ্বকাপে গিয়ে যৌনকর্ম থেকে দূরে থাকা। কিন্তু তা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবল অঙ্গনে।
ফুটবলারদের ফোকাস ও ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য অনেক দলের কোচ বউ কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সেক্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। সেটাই এখন ব্রাজিল বিশ্বকাপের ‘হট টপিক’। অনেকে বলছেন এটা ‘অমানবিক’। আর কেউবা বলছেন ফুটবলারদের এরকম শৃঙ্খলার মাঝে রাখা খারাপ কিছু নয়।
সবচেয়ে বেশি করে বিতর্কের ঝড় তুলেছেন মেক্সিকো মিগুয়েল হেরেরা। তার ভাষ্য, ‘একটা মাস তোমাদের অবিবাহিত পুরুষ হয়ে থাকতে হবে। কেননা আমরা পার্টি করতে যাচ্ছি না। বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। কেউ ৪০ দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে মারা যাবে না।’
পরে হেরেরা দেখানো পথে হেঁটেছেন ঘানা এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার কোচও। যদিও গবেষকরা বলছেন- খেলার একদিন আগে শারীরিক সম্পর্ক করলে খেলোয়াড়দের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। যা ভালো খেলাতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে সেই ফুটবলারকে। অন্যদিকে বিপক্ষ শিবিরের মত, সহবাস মানুষের মস্তিস্ককে অস্থির করে তোলে। এটা কখনো সখনো মানসিক বিচ্যুতি ঘটায়।
তবে এই মতগুলো আদৌ ঠিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে না থেকেই লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা বছরের পর বছর ভালো খেলে চলেছেন। তাছাড়া কাকতালীয় একটা ঘটনা দারুণ উদ্বুদ্ধ করছে সেক্স বহাল রাখার পক্ষপাতী শিবিরকে। সেটা হলো- মেসি ২০১২ সালে বাবা হয়েছেন। সেই বছরই কিন্তু মেসি জীবনের সেরা ছন্দে ছিলেন। তাহলে কারা ঠিক পথে আছেন?