ঢাকাঃ মা হচ্ছেন শাবনূর, এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরপরই বিয়ের খবরও স্বীকার করে নেন শাবনূর। অর্থাৎ নিজের বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন শাবনূর। ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ে করেছেন শাবনূর। বর তার বিপরীতেবধূ তুমি কার চলচ্চিত্রে অভিনয় করা চিত্রনায়ক অনিক। শুধু তা-ই নয় বিয়ের এক বছর পর শাবনূর এবার মা হতে চলেছেন। মাত্র আর কিছু দিনের মধ্যেই সন্তানের মুখ দেখতে চলেছেন তিনি। ডাক্তার জানিয়েছেন সম্ভাব্য তারিখ এ মাসেরই ২২ অথবা ২৩। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন তার পরিবারের সাথে। কিন্তু কয়েক মাস আগেই তিনি দেশে এসেছিলেন। ফিরেছেন ২ অক্টোবর। অথচ কেউ জানতে পারেনি তার এ গোপন খবর।
কিন্তু কেন কাউকে জানতে দেননি শাবনূর? তবে কি শাবনূরের ইচ্ছে ছিল নিজের বিয়ে ও সন্তান ধারণের খবরটি চেপে গিয়ে নায়িকা হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে আরো কিছুদূর টেনে নিতে? এমন প্রশ্নই এখন শাবনূর ভক্তদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিয়ের ব্যাপারে গণমাধ্যম বারবার জানতে চাইলেও তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। বলেছেন সময় হলে ঘটা করেই জানাবেন সব। কিন্তু শাবনূর শেষমেশ সে সত্য চেপে রাখতে পারেননি। তবু শাবনূরের বিয়ে ও মা হওয়ার খবরে তার ভক্তরা আনন্দিতই হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ভক্তরা সমালোচনার চেয়ে অভিনন্দিতই করছেন এ নন্দিত অভিনেত্রীকে।
নব্বই দশকের শুরুতে এহতেশাম পরিচালিত চাঁদনী রাতে ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন শাবনূর। তারপর জুটি বাঁধেন মরহুম সালমান শাহের সাথে। আর তাতেই সফলতা আসে তার। কিন্তু হঠাৎ সালমানের চলে যাওয়াতে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ে। সেই সঙ্কট কাটিয়ে ওঠেন রিয়াজের সাথে জুটি বেঁধে। পাশাপাশি ফেরদৌস, মান্না এমন কি হালের নায়ক শাকিব খানের সাথে কাজ করেও সফল হন তিনি।
কিন্তু সবকিছু উলটপালট হয়ে যায় ডিজিটাল চলচ্চিত্রের আগমনে। তখন থেকেই শাবনূরের হাতে ছবির সংখ্যা কমতে থাকে। ২০১১ সালে শাবনূর অভিনীত মাত্র দু’টি ছবি মুক্তি পায়। আর তাতেই চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব নেয়া সম্পর্কে সেই সময় শাবনূর বলেন,‘চলচ্চিত্র ছাড়ছি না। অস্ট্রেলিয়াতে বছরে মাত্র তিন মাস থাকব তাও ভাইবোনদের জন্য।’
Prev Post