নরসিংদী: ‘ভাইরে, দুইটা জাহাজ দেখতে পাইছি। জাহাজ দুটি আমাদের দিকে আগাইয়া আইতেছে। ভাই, ২০ জন লোক গুলি খাইয়া পড়ে আছে। পাঁচজন মইরা গেছে। আমরা সবাই অনেক ভয় পাইতেছি, আমাগো বাঁচান।’
বুধবার দুপুর ২টায় ঘটনাস্থল থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোবাইল ফোনে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন আক্রান্ত ট্রলারের যাত্রী মিঠুন দাস।
মিঠুন দাসের মোবাইল কলের সূত্রধরে তার পরিবারের সদস্যরা জানান, সাড়ে তিনশ’ যাত্রী নিয়ে বড় আকারের ট্রলারটি গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার থেকে রওনা হয়। মিঠুনসহ যাত্রীরা সবাই অবৈধ পথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়িয়ে আরো ১০/১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি চিতা পাহাড়ের জলসীমা দিয়ে যাওয়ার সময় সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ ২০ জনের অবস্থাও বেশি ভালো না।
মিঠুন মোবাইল ফোনে আরো জানিয়েছেন, যারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তারা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। কারো গুলি লেগেছে পেটে, কারো হাতে, বুকে কিংবা পায়ে। আর যাদের মাথায় গুলি লেগেছে তারা ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় ও বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করলেও আতঙ্কে তার কথা বন্ধ হয়ে আসছিল।
শেষ খবরে নরসিংদীর ছেলে মিঠুন আরো জানান, দুপুরের পরে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং বিকল হয়ে পড়ায় ট্রলারটি বেঁধে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দিকে এগিয়ে নিয়ে আসছে।