মৌসুমি ফলসহ খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত ফরমালিন রোধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে রাজধানীর অধিকাংশ ফলের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ফরমালিন ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ভয়েই তারা দোকান খোলা রাখতে পারছেন না।
আর প্রশাসন বলছে, শুধু চেকপয়েন্টই নয় প্রয়োজনে খুচরা বিক্রেতাদেরও অভিযানের আওতায় নিয়ে আসবেন তার। অন্যদিকে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে গ্রাহক সাধারণের দাবি, এমন অভিযান আরো আগেই পরিচালনা করা উচিত ছিলো সরকারের।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৯টা। মিরপুর ১০ নম্বর গোল চক্করে ফলের দোকানগুলো হটাৎই বন্ধ করা শুরু করেছেন দোকানিরা। দিনের শুরুতে এমন দৃশ্যের কারণ জিজ্ঞাসা করলে দোকানিরা জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের ভয়েই এই অবস্থা তাদের।
অন্যদিকে, বুধবার রাতের অভিযানে রাজধানীতে ফল কম আসায় বাজারে দামটাও চড়া বলে জানালেন আড়তদাররা।
কিন্তু, জিম্মি হওয়া গ্রাহকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আর প্রশাসন বলছে, শুধু রাজধানীর প্রবেশ মুখেই নয়, প্রয়োজনে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খুচরা দোকানগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করবেন তারা।
রাজধানীতে প্রবেশের সময় ২০৮টি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফরমালিনযুক্ত ৩ হাজার মণ আম, ২শ’ মণ জাম এবং ১৫ লাখ লিচু ধ্বংস করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় ফরমালিনযুক্ত ফল বহনের দায়ে দু’জনকে ছয়মাস ও একজনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড এবং ১২ জনকে ৮৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর ৮টি প্রবেশ পথ দিয়ে গতরাতে ১ হাজার ৯২৫টি পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশ করেছে। তারমধ্যে ২০৮টি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩ হাজার মণ আম, ২শ’ মণ জাম এবং ১৫ লাখ লিচুতে ফরমালিন পাওয়া গেছে। পরে সেগুলো আটক করে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় তিনি পবিত্র শব-ই-বরাত উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে আতশবাজি না করার আহ্বান জানান। কাউকে আতশবাজি সহকারে হাতেনাতে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সময়নিউজ.টিভি