ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়ায় এরশাদকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ। আজ শনিবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বিবৃতিতে দলের চেয়ারম্যান সম্পর্কে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির অধিকাংশ নেতা, এমনকি দলের সর্বোচ্চ ফোরাম প্রেডিয়ামকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পার্টির গৃহীত আগের অবস্থানের বিপরীতে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এইচএম এরশাদ। এটা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। জাপা চেয়ারম্যানের এ সিদ্ধান্তের জন্য দলের মধ্যে থাকা সরকারের অনুগত নেতৃবৃন্দকে দায়ি করে তাদের বিরুদ্ধে পার্টির তৃণমূল পর্যায়ের সব নেতাকর্মীকে প্রতিবাদী অবস্থান গ্রহণ করার আহ্বান জানান সাবেক বামপন্থী এই শ্রমিক নেতা।
বিবৃতিতে কাজী জাফর বলেন, এরশাদের সরকারবিরোধী অবস্থান দেশের রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা ও জনগণের মনে আশা-আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছিল। জনগণের মনে আশা জেগেছিল শেখ হাসিনা বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে একতরফাভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি মেনে নেবে। কিন্তু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে পার্টিকে দেশবাসীর কাছে গণধিকৃত পার্টি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জাপার লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী আজ এ ঘটনায় চরমভাবে অপমানিত ও আশাহত। নিদারুণ মনোকষ্টে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
নির্দলীয় সরকারের একনিষ্ঠ সমর্থক কাজী জাফর বিবৃতিতে বলেন, আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি মনে করি দেশের বর্তমান সংঘাত ও সঙ্কটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ।