ঢাকা: বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল স্পেনের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটা মনে করিয়ে দিতে পারে ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি। সেবারের মতই উত্তেজনার দোলাচল থাকবে তারকাবহুল এই শক্তিশালী দুই দলের লড়াইয়ে। কিন্তু সেই ম্যাচের সঙ্গে আজকের দিনের পার্থ্যকটা বিস্তর। এটা যে গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ। তাই বলে কি জয়ের লক্ষ্যে পিছপা হবে কোন পক্ষ? ব্রাজিলের সালভাদরের অ্যরেনা ফন্ট নাভা স্টেডিয়ামে দুপুর বেলা তুমুল এক লড়াই দেখবে ফুটবলপ্রেমীরা এতে কোন সন্দেহ নেই।
লা রোজাদের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় এনে দিতে সম্ভাব্য সব কৌশলই কাজে লাগাতে চাইবেন স্পেন বস ভিনসেন্তে দেল বস্ক। কেননা গ্রুপ পর্বে এটাই হবে তাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। ইনজুরি থেকে সেরে উঠে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিত তারকা দিয়েগো কস্তাও যোগ দিয়েছেন ভিয়া-ইনয়েস্তাদের শিবিরে। তাই পূর্ণশক্তি নিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় চাইবে স্পেনিশরা।
অন্যদিকে চার বছর আগে ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালের দুঃসহ স্মৃতি মুছে দিতে স্পেনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ মিশনে নামবে ডাচরা। ব্রাজিলে সেই হারের স্মৃতি পেছনে ফেলে সঠিক কক্ষপথে ফিরে বিশ্বকাপ জয় করে নিতে চাইবে তারা।
ভিনসেন্তে দেল বস্ক তার আক্রমনাত্মক ফুটবল দর্শন ধরে রেখেই সাজাবেন খেলার ছক। মিডফিল্ডে জাভি ইনিয়েস্তা আর আক্রমণে দিয়েগো কস্তা ও ডেভিড ভিয়াকে নিয়ে দুর্দান্ত খেলবে স্পেন এমনটাই মনে করেন ফুটবলবোদ্ধারা। আর নেদারল্যান্ডসের কোচ লুইস ফন গল পাঁচ খেলোয়াড় নিয়ে ডিফেন্স শক্ত করে প্রধান তিন অস্ত্র ফন পার্সি, অ্যারিয়েন রোবেন ও ওয়েসলি স্নাইডারকে রাখবেন আক্রমণে। তবে ফন পার্সির ইনজুরি সামান্য দুশ্চিন্তার ভাজ ফেলবে গলের কপালে।
এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এটি হবে দুদলের দ্বিতীয় দেখা। ২০১০ সালের ফাইনালে প্রথমবার দেখায় জয় পেয়েছিল স্পেন। ডাচদের ১-০ ব্যবধানে সেবার হারিয়েছিল দেল বস্কের শিষ্যরা। আর বিশ্বকাপের বাইরে দুইবার মুখোমুখি হয়ে দুইবারই জয় পেয়েছে নেদারল্যান্ড। তবে প্রতিক্ষেত্রে মাত্র একগোল ব্যাবধানই নির্ধারণ করেছে ম্যাচের ভাগ্য। তাই কে জয় পাবে তা জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে ম্যাচের শেষ মিনিট পর্যন্তই।
একই দিনে নাটালে মেক্সিকোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ক্যামেরুন। বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পার হতে এই দুই দলকেই কাঠখড় পুড়াতে হয়েছে। তবে মিগুয়েল হেরেরার দক্ষ কোচিংয়ে অনেকটাই সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে ম্যাক্সিকানরা। ৫-৩-২ ফরমেশনে শক্তডিফেন্স ধরে রাখার পাশাপাশি উইং নির্ভর দুর্দান্ত আক্রমণে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়বে তারা।
জয় ছিনিয়ে নিতে তৈরি হয়ে মাঠে নামবে অফ্রিকার অদম্য সিংহরাও। ক্যামেরুনের কোচ ভলকার ফিঙ্ক বলেন, ‘চার বছর আগে আমাদের দলের অবস্থা ভাল ছিল না। তাই সেবারের মত হবে না এই টুর্নামেন্টে। ভাল ফল নিয়েই দল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেই এসেছে ব্রাজিলে। ’
রেকর্ড বুক বলে ম্যাক্সিকো বিশ্বকাপের ফাইনালে কখনই কোন আফ্রিকান কোন দলকে হারাতে পারেনি। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে ক্যামেরুনকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল উত্তর আমেরিকার দেশ ম্যাক্সিকো। আর কখনও মুখোমুখিও হয় নি ম্যাক্সিকো। তাই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে কী ঘটবে তাও বলা কঠিন।