আট বছর আগে গুগল ও ইয়াহুতে সার্চ দিয়ে পর্নোগ্রাফির একটি লিঙ্কে নিজের ছবি খুঁজে পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার মডেল মারিয়া বেলেন রোদরিগুয়েজ। এর পরই ইন্টারনেটের এই দুই সার্চ ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেন তিনি। মারিয়ার দাবি, তিনি যৌনকর্মী নন। তাঁর সেই ছবি আবেদন সৃষ্টি করার মতোও ছিল না। তবে গুগলের দাবি তারা এ জন্য দায়ী নয়, তারা শুধু মধ্যস্থতার কাজ করে। সিএনএনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১০ সালে আদালত গুগল ও ইয়াহুকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেন। পরে একজন বিচারক জরিমানার পরিমাণ ছয় হাজার ২০০ ডলার কমিয়ে দেন। মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
দুই বছর আগে ইয়াহু অভিযোগ মেনে নিয়ে ক্ষতিপূরণ দিলেও গুগল তা দেয়নি। গুগলের জরিমানা পাঁচ হাজার ২০০ ডলার হলেও মারিয়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩৭ হাজার ডলার দাবি করছেন।
মারিয়া বলেন, ‘একদিন আমার বাবা গুগলে আমার নামে সার্চ দিয়ে একটি পর্ন সাইটের লিঙ্ক দেখতে পান। এর কারণে আমাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আমি আমার কাজ পাওয়ার সুযোগ হারিয়েছি।’
দেশটির একটি আদালত গুগলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে মারিয়ার নামে থাকা এসব লিঙ্ক এবং পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত সপ্তাহে উচ্চ আদালতে এর ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রায় হতে পারে।
গুগলের আইনজীবী মারিয়ানো ফ্লোরেনসিও গ্রোনদোনা বলেন, এসব সংযোগ আগেই বন্ধ করা যেত, কিন্তু মারিয়া এসব বিতর্কিত ওয়েবসাইট শনাক্ত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গুগল ওয়েবসাইটে থাকা বিষয়বস্তুর দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারা জানায়, তারা শুধু মধ্যস্থতার কাজ করে। গুগল জানায়, প্রতিবছর তারা সার্চ ইঞ্জিন থেকে তথ্য সরিয়ে নিতে ১০ কোটির মতো আবেদন পেয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশিরভাগই থাকে কপিরাইটজনিত।
ইয়াহুর আইনজীবী আলবার্তো বুইরেস বলেন, ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব।