ঢাকা: জার্মানি থেকে ব্রাজিল। মাঝে আট বছরের ব্যবধান। এর মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে গোল শূন্য ছিল ফুটবল যাদুকর। যা স্রেফ অবিশ্বাস্য। কারণ ক্লাবের হয়ে গোলের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ফুটবলের তীর্থভূমি ব্রাজিল আর এমএলটেনকে বঞ্চিত করল না। সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোর পর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে এসে গোল খরা কাটালেন মেসি। তার কাধেই সওয়ার আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মেসির গোলেই ২-১ ব্যবধানে জয় পায় আর্জেন্টিনা।
ঐতিহাসিক মারকানা স্টেডিয়ামের প্রথমার্ধের খেলায় মন ভরাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। সেজন্য ব্রাজিলের জুনিনহো থেকে ইংল্যান্ডের অ্যালেন শেরার কিংবা রিও ফার্ডিনান্ড সবার তোপের কেন্দ্রে ছিলেন মেসি। যাকে নিয়ে এতো স্বপ্ন, এতো হাইপ, এতো প্রত্যাশা- সেই তিনি কিনা মঞ্চে উঠে নিরুত্তাপ। আসলে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটে অনেকটা গা জোয়ারি ফুটবল খেলছেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, সার্জিও আগুয়েরো ও লিওনেল মেসিরা। যদিও ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিল আলবেসেলেস্তিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল আর্জেন্টিনার ‘তারার হাট’। এই সুযোগে লাতিন আমেরিকার দলটির কাঁধে চড়ে বসে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। তবে সঠিক সময়ে এসে জেগে উঠলেন ফুটবলের রাজপুত্র। দলকে দিলেন সঠিক পথের দিশা। তাতে অনেকটা গা ঝাড়া দিয়ে উঠলো গোটা আর্জেন্টিনাও। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে এলো কাঙ্খিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন গনজালো হিগুয়েনের নিকট থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চির চেনাভাবে বাম পায়ের শটে গোল তুলে নেন মেসি। স্কোরলাইন হয় ২-০। এর আগে আর্জেন্টিনার প্রথম গোলটি সিয়াদ কোলাসিনাকের পায়ে। মেসির শটে আর্জেন্টিনার এক ডিফেন্ডার মাথা লাগানোর পর সেই বলটি বসনিয়া ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। এরপর খেলা যখন প্রায় শেষের লগ্নে, তখন সান্ত্বনার একটি গোল করে বসনিয়া। সেটা খেলার ৮৫ মিনিটের ঘটনা। বিকল্প হিসেবে নামা ভিসাদ ইভাসোভিচ তার দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন।