দেশ রক্ষা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঈদের পর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষার আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ঈদের পর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করে নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে। আর এ লক্ষেই আমাদের আন্দোলন হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আজকে দেশের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এ অবস্থায় দেশের সকলে, আমরা সবাই খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। প্রতিদিন চলছে খুন-খারাবি, গুম ও নির্যাতন। মানুষ বাঁচার নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। কিন্তু এ অবস্থা চলতে পারে না। সেজন্য ঈদের পর এ অনির্বাচিত সরকারকে বাধ্য করবো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে। আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি, দল-মত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে। কারণ এ সরকার খুনীদের সরকার।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ এ অবৈধ সরকারকে চায় না। তারা এদের আহ্বানে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সাড়া না দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে আমাদের সঙ্গে জনগণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তিনি ঈদের পর দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে শরিক হতেও সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ইফতারের আগে মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক।
এতে সভাপতিত্ব করেন এনডিপির সভাপতি খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব আলমগীর মজুমদার।
ইফতারে আরও অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম ও ডা. রিদওয়ান উল্লাহ শাহেদী, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে.(অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির মহাসচিব ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল মবিন, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচএম কামরুজ্জামান খান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ-ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ ইফতার পার্টিতে যোগ দেন।