গাজার সুড়ঙ্গগুলোই ইসরাইলের মাথাব্যথা। দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনী হামাসের সুড়ঙ্গ কৌশলের কাছে রীতিমতো ধরাশয়ী। হামাসের এ সুড়ঙ্গ পথগুলোই আজ ইসরাইলের মরণফাঁদ। আধুনিক ও উন্নত যুদ্ধসরঞ্জাম নিয়েও হামাস নিয়ন্ত্রণে নাজেহাল ইসরাইল। এবার তাই হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ ধ্বংসের অভিযানে মত্ত হয়ে উঠে ইসরাইল।
২০১১ সালে যখন হামাস গাজার প্রতিরক্ষা কৌশল ও আক্রমণের উপায় হিসেবে সুড়ঙ্গ খোঁড়া আরম্ভ করে। ইসরাইলের সীমান্ত পোস্টগুলোতে হামলা চালাতে এসব সুড়ঙ্গ অব্যর্থ ও কার্যকরী মাধ্যম বলে বিবেচিত হয়। ২০০৬ সালে এই সুড়ঙ্গ দিয়ে হামাসে এক টিম ইসরাইল পোস্টে হামলা চালায়। আকস্মিক আক্রমণে হতভম্ব দিশেহারা হয়ে পড়ে ইসরাইল বাহিনী। আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় মোড়া ইসরাইলি বাহিনী কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের দুই সৈন্য নিহত হয়। গিলাত শালিত নামের অপর এক সৈন্য বন্দি হয় হামাসের হাতে। পাঁচ বছর পর সহস াধিক ফিলিস্তিনিবন্দির মুক্তির বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হামাসের এসব সুড়ঙ্গ অনেকটা দক্ষিণ ভিয়েতনামের ভিয়েতকং সুড়ঙ্গের মতো। তবে এখানে কংক্রিটের দেয়াল ছাদের মাধ্যমে একটু উন্নত রূপ দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যুক্ত করা হয়েছে। কংক্রিটের এসব সুড়ঙ্গগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই সহজ। তেমন একটা খরচও নেই। ভেতরে পানি জমলে কেবল পাম্পিং-এর ব্যবস্থা করতে হয়। হামাসের সক্ষমতার আলোকে এর চেয়ে ভালো যুদ্ধাস্ত্র আর হয় না। হামাস এই ধারণা পেয়েছে আরবের খন্দক যুদ্ধ থেকে। সেসময় মুসলিম বাহিনী প্রতিরক্ষার জন্য পরিখা খনন করেছিল।
ইসরাইলের নজরদারি এড়িয়ে অত্যন্ত গোপনে এসব সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ করা হয়। কয়েকমাস সময় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়। কারণ মটর ডিগার বেশি শব্দ করলে ইসরাইলের লিসেনিং পোস্ট তা শনাক্ত করতে পারে। সুড়ঙ্গের মুখগুলো সাধারণত কোণোঘর। মসজিদ, স্কুল বা সরকারি ভবনের নিচতলাতে অবস্থিত। প্রায় ৬৫ ফুট গভীরতার এসব সুড়ঙ্গের অবস্থান নির্ণয় করার মতো কোনো প্রযুক্তি এখনও ইসরাইলের হাতে নেই।
২০১১ সালে যখন হামাস গাজার প্রতিরক্ষা কৌশল ও আক্রমণের উপায় হিসেবে সুড়ঙ্গ খোঁড়া আরম্ভ করে। ইসরাইলের সীমান্ত পোস্টগুলোতে হামলা চালাতে এসব সুড়ঙ্গ অব্যর্থ ও কার্যকরী মাধ্যম বলে বিবেচিত হয়। ২০০৬ সালে এই সুড়ঙ্গ দিয়ে হামাসে এক টিম ইসরাইল পোস্টে হামলা চালায়। আকস্মিক আক্রমণে হতভম্ব দিশেহারা হয়ে পড়ে ইসরাইল বাহিনী। আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় মোড়া ইসরাইলি বাহিনী কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের দুই সৈন্য নিহত হয়। গিলাত শালিত নামের অপর এক সৈন্য বন্দি হয় হামাসের হাতে। পাঁচ বছর পর সহস াধিক ফিলিস্তিনিবন্দির মুক্তির বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হামাসের এসব সুড়ঙ্গ অনেকটা দক্ষিণ ভিয়েতনামের ভিয়েতকং সুড়ঙ্গের মতো। তবে এখানে কংক্রিটের দেয়াল ছাদের মাধ্যমে একটু উন্নত রূপ দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও যুক্ত করা হয়েছে। কংক্রিটের এসব সুড়ঙ্গগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই সহজ। তেমন একটা খরচও নেই। ভেতরে পানি জমলে কেবল পাম্পিং-এর ব্যবস্থা করতে হয়। হামাসের সক্ষমতার আলোকে এর চেয়ে ভালো যুদ্ধাস্ত্র আর হয় না। হামাস এই ধারণা পেয়েছে আরবের খন্দক যুদ্ধ থেকে। সেসময় মুসলিম বাহিনী প্রতিরক্ষার জন্য পরিখা খনন করেছিল।
ইসরাইলের নজরদারি এড়িয়ে অত্যন্ত গোপনে এসব সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ করা হয়। কয়েকমাস সময় নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়। কারণ মটর ডিগার বেশি শব্দ করলে ইসরাইলের লিসেনিং পোস্ট তা শনাক্ত করতে পারে। সুড়ঙ্গের মুখগুলো সাধারণত কোণোঘর। মসজিদ, স্কুল বা সরকারি ভবনের নিচতলাতে অবস্থিত। প্রায় ৬৫ ফুট গভীরতার এসব সুড়ঙ্গের অবস্থান নির্ণয় করার মতো কোনো প্রযুক্তি এখনও ইসরাইলের হাতে নেই।