হেংকিন দ্বীপ চীনের অন্যতম সমৃদ্ধশালী একটি নগরী। সেখানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অ্যাকোয়ারিয়াম, যেখানে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে ৬৩ মিটার দৈর্ঘ্যের এক বিশাল নীল তিমির স্ট্যাচু। ভাস্কর্যটি যেন হেংকিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিরই প্রতীক। অ্যাকোয়ারিয়ামে পানি রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টন। এ বছরের মার্চেই এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেইসাথে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও স্থান করে নেয় এটি। নানা ধরনের মাছের পাশাপাশি, অ্যাকোয়ারিয়ামে আছে নীল সেইলফিশ, হাঙর ইত্যাদি। এর প্রবেশ মূল্য ৫০ ডলার।
হেংকিন একসময় জেলেদের গ্রাম হিসেবেই সুপরিচিত ছিল। বর্তমানে এটি অর্থনৈতিক শক্তিশালী একটি এলাকা হিসেবে গড়ে উঠেছে। তৈরি হয়েছে অনেক বহুতল ভবন। শিক্ষা, শিল্প কারখানা, পর্যটনের জন্য চীনের মধ্যবিত্তদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এলাকাটি।
হেংকিনের সরকার প্রধান নিউ জিং সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেন, হেংকিনের অবস্থানটা একেবারে ভিন্ন একটি জায়গায়, যেখানে প্রচুর সুযোগ সুবিধা রয়েছে, পাশে আছে ম্যাকাও ও হংকং৷ দ্বীপটিকে পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় করতে চীনা সরকার সেখানে নিষেধাজ্ঞা থাকা বিদেশি ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হবে বলে গত বছর জানিয়েছিল সরকার সমর্থিত একটি পত্রিকা। ফলে চীনের মূল ভূখণ্ডের নাগরিকরা ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব ব্যবহার করতে না পারলেও হেংকিনে গেলে সেগুলো ব্যবহার করতে পারার কথা। তবে এএফপির সংবাদদাতা জানিয়েছেন এখনো সেখানে ফেসবুক, টুইটার ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে হেংকিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।