বিএসএফের হাতে মারা গেল বাংলাদেশি , বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানায়

0

image_67534_0পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার শিংরোড রতনিবাড়ি সীমান্ত এলাকার যমুনা নদী থেকে বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশি জেলে আক্তারুল ইসলামের (৩০) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিএসএফ) তাকে ওই সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যায়। আজ দুপুরে বিএসএফ তার মৃতদেহ ওই নদীর ভারতীয় অংশে ফেলে দেয়। আক্তারুল প্রধানপাড়া গ্রামের হেমত আলীর ছেলে। 

খবর পেয়ে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক, পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।এলাকাবাসী ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে সে ওই সীমান্তে মাছ ধরতে গেলে ভারতীয় বিএসএফের সাকাতিপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফ দুই দফায় পতাকা বৈঠক করে। বৈঠকে বিএসএফ আক্তারুলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। কিন্তু আজ (শুক্রবার) দুপুরে বিএসএফের একটি লাল গাড়ি ওই সীমান্ত এলাকার যমুনা নদীর ভারতীয় অংশে আক্তারুলের মৃতদেহ ফেলে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী এ দৃশ্য দেখতে পায়। বাংলাদেশের অভ্যান্তরে মৃতদেহ ভেসে আসলে এলাকাবাসী বিজিবি ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে শিংরোড বিজিবি ক্যাম্প ও পঞ্চগড় থানা পুলিশ নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আক্তারুলের ভাই সফিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএসএফ তাকে নির্যাতন করে হত্যার পর মৃতদেহ নদীতে ফেলে দিয়ে গেছে।’পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফুল হক জানান, বিজিবি’র পক্ষ থেকে এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More