বরগুনার তালতলী উপজেলার তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পাওয়া গেছে।
তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের এক শিশু (১৬) সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আর্জি দাখিল করেছেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে থাকায় অভিযোগটি নথিভূক্ত হয়নি।
বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন তাকে তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজে দিয়েছিলেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় তাকে অবৈধ মেলামেশার প্রস্তাব দিলে বাদী তাতে রাজী হয়নি। ঘটনার তারিখ ৬ই আগষ্ট সকালে যথাসময়ে কাজে গেলে তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বাহির থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগীতা করে বলে বাদী উল্লেখ করেন। বাদীর ডাক চিৎকারে স্বাক্ষীরা উপস্থিত হলে ধর্ষণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে এব্যাপারে মামলা না করার জন্য বাদী ও তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় জড়িত করার ভয়ভীতি দেখিয়ে অস্ত্রের মুখে ৩টি ননজুডিশিয়াল অলিখিত ষ্ট্যাম্পে আসামীরা স্বাক্ষর নেয় বলে বাদী অভিযোগ করেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, বাদীকে আমি আদৌ চিনিনা। কোনদিনই সে আমার বাসায় গৃহপরিচারিকা ছিলনা। আমি স্ত্রী, সন্তান ও আমার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে এখানে বসবাস করি। তার (ওই শিশু) বাবা থানায় মাঝি হিসেবে কাজ করে। বাদীর বাবা ইতোপূর্বে ওসির বাসায় চুরি করায় তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা মামলা দায়েরের চেষ্টা হচ্ছে বলে ওসি মিজানুর রহমান উল্লেখ করেন।