শ্রীমঙ্গল ভৈরববাজার এলাকায় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনস্থলে ভৈরববাজার দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ৭ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী মিনারা সহ দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো ২০ জন। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে দুপুর দেড়টায় প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী। এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের উভয় পাশে শতাধিক দূরপাল্লার যানবাহন আটক পড়ে। দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীবাহী লোকাল বাসে থাকা যত্রী শ্রীকান্ত জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরববাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের অনতিদূরে বাসটি এসে পথচারীকে চাপা দিলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
এ সময় গাড়ির চালক খুব দ্রুত গতিতে গাড়িটি চালাছিলেন। ঘটনাস্থলে নিহত মিনারা স্থানীয় মাইজদিহি গ্রামের আমজাদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মেজুল মিয়াকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। গুরুতর আহত ঐ স্কুলের অপর আপন ২ বোন ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী লিপি আক্তার ১৬) ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আক্তার (১৩) সহ বাসের ভেতরে বসা ২০/২৫ জন যাত্রীকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ও স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় তারা যাত্রীবাহী ২টি বাস, দুটি পিকআপ ভ্যানসহ ৪/৫টি গাড়ী ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনান্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দুপুর ১টার পর জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।