চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব-বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম এল জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা টোকন ওরফে কায়ার টোকনকে (৪০) গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ দলের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ পুলিশ জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বটিয়াপাড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ের একটি বট গাছের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
নিহত টোকন দামুড়হুদা উপজেলার রামননগর কলাবাড়ি গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বটিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা সকালে গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে টোকনের মস্তক বিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা বলছেন, “বুধবার রাতের কোনো এক সময়ে টোকনকে কৌশলে অপহরণের পর এই স্থানে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, নিহত টোকন চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব-বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধের শীর্ষ নেতা।
তার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
চরমপন্থী সংগঠনের অভ্যান্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হত্যা সংগঠিত হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
এদিকে, বুধবার রাতে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় পত্রিকায় ফোন করে নিজেকে পূর্ব-বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল লাল পতাকার নেতা পরিচয় দিয়ে এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “টোকন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দামুড়হুদা থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, হত্যা ও রাহাজানি করে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে অতিষ্ট করে তুলেছিল। এ জন্য পাটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে খতম করে পার্টির গেরিলারা সাধারণ মানুষের মাঝে মিশে গেছে।