সাক্ষীর অভাবে মামলা না করলেও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণের অভিযোগে পাঁচ সচিবের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী এ প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ সুপারিশসহ তাদের সনদ বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব এ কে এম আমির হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ও প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবুল কাশেম তালুকদার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সচিবদের গ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া। যুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই তাদের। যে চার ক্যাটাগরির ভিত্তিতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা হয় সেগুলোর আওতায়ও তারা পড়েন না। এ ছাড়া একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে তাদের বয়সও কম ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক এক কর্মকর্তা জানান, এ সনদ ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের প্রমাণ না পাওয়ায় দুদক বাদী হয়ে ওই সচিবদের বিরুদ্ধে মামলা করবে না। অনুসন্ধানকালে ক্ষমতাধর এ সব আমলাদের বিরুদ্ধে কেউই সাক্ষী দিতে রাজী হয়নি। তবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে পারবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে (পিএসসি) বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ পাঁচজনের সনদ ও গেজেট সঠিক না হওয়ায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুসারে সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।