দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে অন্যসব নাগরিকের মতো অভিনয়শিল্পী ফজলুর রহমান বাবুও বেশ শঙ্কায় আছেন। দেশের রাজনৈতিক অস্থিতরতার পাশাপাশি স্থবির এ অবস্থাটা নানাভাবে ভাবাচ্ছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, কাজকর্মের ক্ষেত্রেও নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। সব কিছু নিয়ে তিনি একরকম বিরক্তই বলা চলে।
প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘আমার মতে, রাজনীতির একটা ভাষা থাকবে। সব রাজনৈতিক দলের নেতার একজনের প্রতি আরেক জনের শ্রদ্ধা থাকতে হবে। থাকতে হবে সহনশীলতা ও বিনয়। গণতান্ত্রিক এই দেশে গণতন্ত্র চর্চার প্রয়োগ ঠিকভাবে নেই।’ তিনি এও বলেন, ‘দেশের প্রতি সকল নেতা-কর্মীর থাকতে হবে সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতা। কিন্তু সব কিছুরই এখন অনেক বেশি অভাববোধ করছি। সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর যদি দেশের প্রতি মমত্ববোধ, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকত তাহলে আজ সাধারণ মানুষের এই ধরনের বাজে পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হত না।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফজলুর রহমান বাবু বলেন, ‘দেশে এখন যা চলছে তা কোনো সুস্থ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা করতে পারেন না। যে দেশের মানুষের মঙ্গলের দোহাই দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন, তাতে দেশের মানুষ দিনের পর দিন আরও বেশি ভীত হয়ে পড়ছে। সবার মাঝে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা কি আসলে এমন দেশই চেয়েছিলাম? ভাবতে অবাকই লাগে।’
ফজলুল রহমান বাবু এখন প্রচার চলতি কয়েকটি ধারাবাহিকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পারছেন। তবে এসব নাটকের শুটিংয়েও বেশ ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাবু বলেন, ‘হরতাল অবরোধ যাই থাকুক না কেন, শুটিং থেকে কোনো রক্ষা নেই। অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে হলেও শুটিং স্পটে হাজির হতে হয়। না হলে ইউনিটসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। এমনকি অবরোধের সময় মাঝে মধ্যে আগের দিনও শুটিং স্পটে চলে যাই। অবরোধের মধ্যে গতকালও পুবাইলে ‘‘অলসপুর’’ নাটকের শুটিং করতে হয়েছে।’
‘অলসপুর’ নাটকটি ছাড়াও এনটিভিতে ফজলুর রহমান বাবু অভিনীত ‘ইয়েস বস নো বস’ নামের একটি ধারাবাহিক প্রচারিত হচ্ছে। এ নাটকে তিনি একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই নাটকের শুটিং করতে গিয়ে জজকোর্ট এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণের মুখে পড়েছিলেন বলেও জানান বাবু।