ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর ‘মিথ্যা’ ও ‘অহঙ্কারী’ বক্তব্যে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই তিনি ওইসব কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে মির্জা ফখরুল।
এর আগে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান এবং সেখানে বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে তার বৈঠকের বিষয় সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপিকে খুনি দল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মধ্য নির্বাচনের জন্য কোনো আলোচনার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেন।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারা খুনি? আওয়ামী লীগের তিন মাসে: ২০১৩ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৬২ জন গুম হয়েছে। একটি বিশেষ বাহিনী তাদের তুলে নিয়ে গেছে। পাঁচ বছরে সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে যেটার এখনো কোনো বিচার হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘তিনি তার মিশন ও ভিশনের কথা আজকের বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। ২০২১ থেকে এখন ২০৪১ সাল পর্যন্ত জোর করে, চতুরতা করে এক কথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। তার আজকের বক্তব্যে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে।’
মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করলে সাত বছর জেল হয়, আর মহানবীকে (সা.) কটূক্তি করলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতারা এ নিয়ে রাজনীতি করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন।’