ঢাকাঃ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, সরকার গত ৭২ ঘন্টায় ৩৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রতি দুই ঘণ্টায় ১ জন মানুষ মারা যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারের সন্ত্রাসীদের হামলায়।
রোবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করার পর সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা গুলি চালিয়ে সারাদেশে পাখি শিকারের মত নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে।
জামায়াত নেতা শফিকুর বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা গুলি চালিয়ে ৩ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত ও ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গড়ে প্রতি ২ ঘণ্টায় ১ জন মানুষকে হত্যা করা দুনিয়ার ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা। মানুষের রক্তে ভাসছে দেশ।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লক্ষ্মীপুরের জনপ্রিয় নেতা ও সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত,জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. ফয়েজ আহমাদকে বাসায় ঢুকে হত্যা করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। গতকাল দিনব্যাপী নোয়াখালী ও নীলফামারীতে গণহত্যা চালিয়েছে এ সরকার। নোয়াখালীতে ৮ জন,নীলফামারীতে ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জনগণের প্রশ্ন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে ভিন্ন বেশধারী যে সব সন্ত্রাসী গুলি করে মানুষ হত্যা করছে এরা কারা?
ডা. শফিকুর বলেন, সরকার একদিকে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে, অপরদিকে নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। ইতিমধ্যেই সরকারী জোটের ১৫৪ জন নির্বাচন ছাড়াই বিজয়ী হয়ে এক নতুন কলঙ্কিত ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও মানুষের সাথে এটা এক নির্মম পরিহাস।
সকল উস্কানী ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে চরম ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে চলমান প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে গণধিকৃত এ জালেম,খুনি সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশ বাঁচানোর জন্য দেশের সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানান এই জামায়াত নেতা।
এম এস