বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করতে চান টলিউডের এ সময়ের ক্রেজ তরুণদের ঘুম কাড়া সেনসেশন মিমি চক্রবর্তী। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ছবিতে ক্রেজি লাভার গার্ল-এর ভূমিকায় মন কাড়া অভিনয় করে বাঙালি ছেলে-বুড়োর ঘুম কেড়েছেন তিনি। এবার সালমানের সঙ্গে কাজ করে বলিউড দুনিয়া মাত করতে চান সুশ্রী কন্যা মিমি। ইতিমধ্যে সালমানের কানে খবরটি পৌঁছেও দিয়েছেন নিজ উদ্যোগে। আর এখন তার অপেক্ষার পালা কখন তার প্রিয় নায়কের ডাক আর সান্নিধ্য পাবেন তিনি। তবে তার আত্দবিশ্বাস সালমান তার আবেদন ফেলতে পারবেন না। কারণ আবেদনময়ী বলতে যা বোঝায় সবই আছে তার মধ্যে। দরকার হলে এবার বেশখানিকটা খোলামেলা হতেও আপত্তি নেই তার। কারণ বলিউড দুনিয়ায় তো আর ঘোমটা মাথায় নাচ করা যায় না। তাছাড়া স্বপ্নের পুরুষ সালমান বলে কথা। প্রয়োজনে তার জন্য না হয় একটু উদার হলে দোষ কি তাতে।
একটা সময় মিমিকে দেখে ঋতুপর্ণ ঘোষ ভাবতেই পারেননি সে বাংলায় অভিনয় করতে পারবে। সেই মেয়ে এখন দেব-এর নায়িকা। কীভাবে? একটা সময় টেলিভিশন মারফত পাওয়া যায় কিছু অসাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রী। যেমন পায়েল সরকার, বিশ্বনাথসহ অনেক শিল্পী। মিমি চক্রবর্তী তার মধ্যে অন্যতম। বছর তিনেক কি বড় জোর চার বছর আগে মিমিকে প্রথম দেখা যায় একটি সিরিয়ালে। তখন মিমি সবে এসেছে উত্তরবঙ্গ থেকে, তার আগে ছিল অরুণাচল প্রদেশে। তাই তেমন ভালো বাংলা জানত না, একটু বেশি অ্যাংলিসাইজড বলা চলে ওকে। কিন্তু মিমির মধ্যে ছিল স্মার্টনেস ও শেখার ইচ্ছা। সিরিয়ালটি শেষ হওয়ার পর ঋতুপর্ণ ঘোষের ধারাবাহিকে নায়িকা পুপের চরিত্রে প্রথমেই যার নাম আসে, সে হলো মিমি। সঙ্গে ছিলেন প্রসেনজিৎ। ২০১২ সালে এই ধারাবাহিক বন্ধ হওয়ার পর প্রসেনজিৎ ঠিক করেন নতুনদের নিয়ে একটা ছবি করবেন, আর সেই ছবিতে থাকবে অর্জুন ও মিমি। ছবির নাম ‘বাপি বাড়ি যা’। মিমিও খুব খুশি। আর এখান থেকেই টালিগঞ্জে মিমির যাত্রা শুরু।