প্রশাসন নিজের নিয়ন্ত্রনে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও মারমুখি। মন্ত্রী-নেতারা কথা বার্তায় যথেষ্ট উদ্ধত। তারপরও আজকে থেকে রাজধানীতে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ।
বেগম জিয়াকে অবরুদ্ধ করার সাথে সাথে গোট দেশ থেকে রাজধানী বিচ্ছিন্ন। পারলনা আ’লীগ দেশকে সচল রাখতে।
সকাল ০৯:০০ টার পর থেকেই ঢাকামুখি বাস, লঞ্চ এমনকি রংপুর থেকে ট্রেন চলাচল ও বন্ধ ঘোষনা করা হলো। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঢাকায় নামানো হচ্ছে বিজিবি।
সবমিলিয়ে আ’লীগের বিজয় উৎসব উদযাপনের আগের দিন থেকেই অচল দেশ।
বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পনা বুঝার আগেই সরকার তাদের হাতে অনেকটা নতজানু।
সারাদেশে আজ ছাত্রদল-বিএনপি-জামায়াত শিবির যেভাবে নেমেছে তাতে তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা না থাকলে যে ২০-দলীয় জোটের সভায় জনস্রোত হত তা বলাই বাহুল্য।
বিরোধীদের ভয়ে নিজেরাই দেশ অচল করে দিয়ে আ’লীগ নিজেদের প্রাথমিক পরাজয়টা স্বীকার করে নিল।
আগামিকাল ৫ জানুয়ারির সমাবেশ নিয়ে বিএনপির অনঢ় অবস্থানের মধ্যে পিছু হটল আওয়ামীলীগ। দলটির পক্ষ থেকে ঘোষনা দেয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় আগামিকাল সভা সমাবেশ করা হবে না।
ফলে রাজধানীর ১৬ টি স্থানে পূর্বঘোষিত আওয়ামীলীগের সমাবেশ হচ্ছে না। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ত্রানমন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তায় না নামার জন্য সর্তক করে দিয়েছিলেন।
তারা বলেছিলেন ৫ তারিখ শুধু আওয়ামীলীগের। এ দিন রাজধানীতে সংবিধান ও গনতন্ত্র রক্ষার বিজয় উৎসব পালন করা হবে।
রবিবার বিকেল পাঁচটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারী বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এর আগে শনিবার রাত থেকেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবরুদ্ধ নয়, বেগম জিয়ার নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়েও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপির সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে আগামিকালের সমাবেশের ব্যাপারে তাদের আগের অবস্থানের এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হয়নি। দলের নেতাকর্মীদের সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন কার্যালয়ে সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার এই সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান এ কার্যালয়ের সামনে এলে তাদের নিয়ে টানা-হেচড়া শুরু হয়। এ সময় সংঘর্ষ বেধে যায়।
পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ১০ জনকে আটক করেছে।
ঢাকায় গুলশানে বিএনপি কর্মীদের সাহসী মিছিল, একের পর এক পেশাজীবীদের বিএনপি নেত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে যাওয়া, দেশের সবকয়টি মহানগরীতে মুহুর্তের ঘোষনায় বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করা, আবার কৌশলে সরে যাওয়া- বিএনপি জামায়াত কর্মীদের সাহসের প্রমান।
সরকার নিজেরা দেশ অচল না করে নিজেদের দুর্বলতা আবারও প্রমান করলো।