ঢাকা: সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আটক সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এ কোন দেশে আছি!’ তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে যাব না এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। কেন নির্বাচনে যাব না সেটাও বলেছি। পাতানো এবং একতরফা নির্বাচন দেশের জন্য কোন উপকারে আসবে না। সেটা কাকে বুঝাবো?’ মানবজমিন পত্রিকাকে রবিবার সকালে এরশাদ আরো বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলাম। নির্দেশ দিলাম দলীয় নেতাকর্মীদের। তারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করল। নির্বাচন কমিশন বলল, প্রত্যাহার করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘এমনকি আমার নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে চিঠি দিলাম। সেটাও গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে না, কিন্তু কিভাবে বললে হবে, তাও তারা বলেনি।’ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই কমিশন কি করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে। তারা তো প্রাথমিক পরীক্ষায় ফেল করেছে। অতীতে এমন রেকর্ড কোনো কমিশন স্থাপন করতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘নিজের কথা আর কী বলব। আমি সুস্থ মানুষ, আমাকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা হয়েছে। আমাকে আটকে রেখে দল ভাঙার চেষ্টা চলছে। যত চেষ্টাই তারা করুক না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। দলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে। যত প্রলোভন আর ভয়ভীতি দেখানো হোক না কেন নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করবে।’ এরশাদ বলেন, ‘দেশবাসী দেখছে, জনগণ এত বোকা নয়। আমার কি অপরাধ? আমি নির্বাচনে যাব না এটা আমার সিদ্ধান্ত। সরকার কেন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে?’ তিনি বলেন, ‘বলপূর্বক আমাকে এমপি বানাবে। সরকার কেন বুঝতে পারছে না যে তাদের কোনো কৌশলই কাজে আসবে না? তাদের পাঁয়ের তলার মাটি সরে গেছে। তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন। হাসির খোরাকে পরিণত হয়েছে।’ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাইরে থাকলে অনেক কিছুই বলতে পারতাম। তবুও সংবাদ মাধ্যমকে বলছি, আমাকে হাস্যকর কায়দায় এমপি বানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে কি? আমি তো শপথ নিতে যাচ্ছি না।’ ‘দলের অন্যদের বেলায় কী সিদ্ধান্ত? তাদের নির্দেশ দিয়েছি- তারা যেন শপথ নিতে না যায়। এজন্য তাদের ওপর চাপ আসতে পারে। তাতে কি? রাজনীতি করলে চাপ সইতেই হবে’ যোগ করেন তিনি। এরশাদ বলেন, ‘আমিতো এই বয়সে আত্মসমর্পণ করিনি। আমার শেষ কথা- কোনো আপস নয়। জনগণের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকবো।’