রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার নির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেদ মারজানসহ চার জনকে গুমের অভিযোগ করেছেন তাদের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার সন্ধায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল বাসেদ মারজানের স্ত্রী রোকাইয়া খানম বলেন, আমার স্বামী গত ৩১ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদের দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় এসে মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে নিকট আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। ১লা ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে ৫ দিন অতিবাহিত হলেও তাকে কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি এবং পরিবারের কাছেও ফেরত দেয়া হয় নি। এ ঘটনার পর আমরা ডিবি, পুলিশ ও র্যা বের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করলেও তারা কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। এছাড়া গত ১৫ জানুয়ারি সিটলি গ্রামে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে আল-আমিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার স্ত্রী বিউটি বেগম প্রতিবেশি মৌসুমি বেগম তাকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে র্যাাব। এর পর প্রায় ২২ দিন অতিবাহিত হলেও তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয় নি। তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ন্বামীসহ উল্লেখিত ব্যক্তিরা যদি কোনো অন্যায় করে থাকে তাহলে তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার করা হোক। কিন্তু বিনা বিচারে এভাবে আঁটকে রাখা সম্পূর্ণ অমানবিক। এসময় আব্দুল বাসেদ মারজনসহ নিঁখজ আল-আমিন, তার স্ত্রী বিউটি বেগম ও কাজের মেয়ে মৌসুমী বেগমকে অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপন্থিত ছিলেন, আব্দুল বাসেদের ২ ছেলে-মেয়ে হাসিন তানজিম ও ইসমাত ওআরা সাবিহা, আল-আমিনের বাবা শাহজাহান আলী ও আল-আমিনের ছেলে রাইয়ান।