ঢাকা: তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। ‘ফিউচার ইজ হিয়ার’ শ্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় এ উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিকেল ৩টায় উদ্বোধনের পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন। সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্যপ্রযুক্তির এ মিলনমেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রোববার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে আনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রত্যাশার কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি ভারপ্রাপ্ত সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এবং বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকার পর বাংলাদেশেও চালু হতে পারে বিনামূল্য ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বসেরা অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক ইন্টারনেট.ওআরজি প্রকল্প। বাংলাদেশেও ইন্টারনেট.ওআরজি প্রকল্প চালু করতে ইতিমধ্যেই আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। আশা করছি, চারদিনের সম্মেলনের শেষ দিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় প্রোমোটিং ইন্টারনেট অ্যাকসেস অ্যান্ড ইকোনোমিক গ্রোথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনফারেন্সে এ বিষয়ে সুখবর জানাবেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ও হেড অব পলিসি আঁখি দাস।’
তিনি জানান, ভাষার মাসের মর্যাদায় এবারের সম্মেলনে ভাষা শহীদদের নামে ৫টি জোন থাকছে। এবার প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে মিনিস্টারিয়েল কনফারেন্স।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-কে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য ও সক্ষমতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরো জানান, এবারের সম্মেলনে আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি আগামী বছর থেকে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হবে লজ্জা পুরস্কার।
এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, ‘কেবল সফটওয়্যার আর আউটসোর্সিং নয় হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রেও কাজ হচ্ছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অ্যসেম্বিলি প্ল্যান্ট হয়েছে। স্মার্টফোনে দেশি ব্র্যান্ড জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ জন্য বাজেটে প্রণোদনা প্যাকেজ রাখা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর নানা আয়োজন তুলে ধরেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশে বেসরকারি উদ্যোগে এ ধরনের সম্মেলন হলেও বাংলাদেশে সরকার এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে পথিকৃৎ। তাই বিষয়টি আজ বিশ্বের অনেক দেশই অনুসরণ করছে।’
তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে বিপিএম, আউটসোর্সিং, ই-কমার্স এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ গুরুত্ব পাচ্ছে। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইটি ক্যারিয়ার। সম্মেলনে প্রথমবারের মতো টেক রকারস হবে। সেখান থেকে বিদেশি বিনিয়োগ করা সহজ হবে। সম্মেলনে বিদেশি উদ্যোক্তারা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বাজারে বিনিয়োগ চুক্তি করবে।
বাজেট উপস্থাপন করেন বেসিস মহাসচিব উত্তম কুমার পাল। তিনি জানান, সম্মেলনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ। আয়ের খাত সরকারের কাছে ৮ কোটি টাকা। স্পন্সর এক কোটি ২৫ লাখ। বেসিস সদস্য কোম্পানির কাছে স্টল বিক্রি করে আয় হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা।
বিসিসি নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ইভেন্ট। এই সম্মেলন বিনিয়োগ আকর্ষণ তৈরি করবে।’
একের ভেতর চার প্রদর্শনী
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা উপস্থাপনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’-এ থাকছে চারটি পৃথক প্রদর্শনী। আয়োজনে প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে বেসিস সফট এক্সপো, ই-গভর্নেন্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো এবং ই-কমার্স এক্সপো। পাশপাশি ই-কমার্স জোন, বিপিও ফোরাম, ডেভেলপারস ফোরাম, আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স এবং আউটসোর্সিং ফোরামের মতো নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পসরা নিয়ে হাজির থাকছে তরুণ প্রযুক্তিবিদরা।
সফটএক্সপো
বেসিস’র উদ্যোগে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের সফটওয়্যার ও আইটি খাতের সর্ববৃহৎ মেলা হিসেবে বেসিস সফটএক্সপো ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম প্রধান তথ্য প্রযুক্তি মেলায় পরিণত হয়েছে। গত বছর থেকে সফটএক্সপো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের অন্যতম অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে। এবারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-তে সফটওয়্যার ও আইটিইএস খাতের ৭২টি স্টলে বেসিস সদস্য কোম্পানি দেশে তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার সলিউশন্স প্রদর্শন করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সফটএক্সপো থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক সফটওয়্যার ও তার সুবিধাদি সম্পর্কে দর্শকরা জানতে পারবে।
ই-গভর্ন্যান্স
মেলায় প্রায় ১০০টি স্টল থেকে নানা ই-সেবা প্রদর্শন করবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর। মূলত ‘ই-গর্ভন্যান্স’ শীর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগণের দোরগড়ার ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার যাবতীয় সরকারি উদ্যোগ।
ই-কমার্স
অনলাইনে ঘরে বসে কেনাকাটার নানা আয়োজন নিয়ে মেলায় থাকছে ৪টি প্যাভিলিয়ন, ১০টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২২টি স্টল। নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটার নানা অফারের পাশাপাশি নিজেদের সেবার পসরা নিয়ে হাজির হবে দেশি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
মোবাইল ইনোভেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপে বাংলাদেশের জয়যাত্রা তুলে ধরতে ৪২টি স্টলে সাজছে ‘মোবাইল ইনোভেশন’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এখানে বাংলাদেশি ডেভেলপার কোম্পানির জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। উইন্ডোজ, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের সহস্রাধিক দেশি অ্যাপ্লিকেশন থাকবে মোবাইল ইনোভেশন জোনে।
মিনিস্টেরিয়েল কনফারেন্স
প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ৫টি দেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে থাকছে ‘মিনিস্টেরিয়েল কনফারেন্স’। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। আয়োজনের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় মিডিয়া বাজার অনুষ্ঠিত হবে ৪ ঘণ্টাব্যাপী এই কনফারেন্স।
সেমিনার ও কর্মশালা
এসব প্রদর্শনী ছাড়াও সম্মেলন থাকছে প্রায় ২০টি সেমিনার, ১১টি কনফারেন্স এবং ১৩টি টেকনিক্যাল সেশন, সিএক্সও নাইট এবং ক্লাউড ক্যাম্প। সেমিনারের মধ্যে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১১টি, ই-গভর্নেন্স নিয়ে ১১টি এবং ৩টি স্পেশাল সেশন রয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মিলনমেলা
বিনিয়োগ আকর্ষণ ও মেধা অন্বেষণসহ তথ্যপ্রযুক্তির প্রচার, প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এবং দেশের তরুণ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সফল আইটি ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ আয়োজনে ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন ৮৫ জন আইটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে আয়োজিত সেমিনার ও টেকনিক্যাল সেশনে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন তারা।
সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হোউলিন ঝাও, টিপসি অ্যান্ড টাম্বলারের প্রতিষ্ঠাতা বয়েডলি পোলেন্টাইন, ক্লাউডক্যাম্প প্রতিষ্ঠাতা ডেভ নিয়েলসেন, টাই সিলিকন ভ্যালি প্রেসিডেন্ট ভেঙ্ক শুক্লা।
বিশ্বসেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল সাউথ এশিয়ার হেড অফ সেলস বেন কিং, গুগলের হেড অব এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট বিকি রাসেল, মার্কেটিং স্পেশালিস্ট ক্যাটি স্যান্ডারস, গুগল স্পিচের সফটওয়্যার প্রকৌশলী রবি রাজকুমার, গুগলের পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অক্ষয় সন্থালিয়া, গুগল সাউথ এশিয়ার ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট ফজল আশফাক, গুগল ট্রান্সলেটের সফটওয়্যার প্রকৌশলী আর্নে মৌসার, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এবং হেড অফ পাবলিক পলিসি আঁখি দাস, অ্যাকসেঞ্চার বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অবিনাশ ভাসিস্তা, অগমেডিক্স সিইও এবং কো-ফাউন্ডার আইয়ান শাকিল, এনটিএফ থ্রি প্রকল্প পরিচালক মার্টিন লাব্বি, বিক্রয় ডটকম প্রধান মার্টিন মালস্ট্রম প্রমুখ।
বিশেষ আয়োজন
প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণে টেক উইমেন কনফারেন্স, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কনফারেন্স অন আইটি ক্যারিয়ার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের নিয়ে ‘টাইটেনিয়াম কনফারেন্স’।
ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার
মেলায় অনুষ্ঠিত সেমিনার, কর্মশালা এবং কারিগরি সেশন ছাড়াও মেলার বিভিন্ন আয়োজন সরাসরি ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (www.facebook.com/DigitalWorldBangladesh) মেলার সব ধরনের আপডেট পাওয়া যাবে। ইউটিউবেও পাওয়া যাবে এসব আয়োজনের ভিডিও লিংক। ওয়েব ঠিকানা www.digitalworld.org.bd
আরো যা থাকছে
প্রদর্শনীতে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে থাকছে এক্সপেরিয়েন্স জোন। এখান থেকে গুগল বাস, ই-ব্রেইল ছাড়াও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেয়া যাবে। থাকছে সেলফি বুথ ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা, এলইডি স্ক্রিনে মেলার উল্লেখযোগ্য আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড’ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে মেলার সর্বশেষ তথ্য জানার সুবিধা।
যৌথভাবে বর্ণাঢ্য আয়োজন করছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সরকার ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের এই তথ্যপ্রযুক্তির মিলনমেলায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে আয়োজন সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), টাই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটি (বিডব্লিউআইটি), সিটিও ফোরাম এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)