ঢাকা: শেষ পর্যন্ত বিজয় দিবসে বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। আজ সোমবার দুপুরের পর সভা করে তারা বঙ্গবভনে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যার পর তারা বঙ্গভবনে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। দুপুরের আগ পর্যন্ত বঙ্গভবনের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন এসব কূটনীতিক ।
এর আগে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে রীতি অনুযায়ী ভোরে মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা। সমন্বয় সভার অজুহাতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলে গতকাল রোববার বিকেলে রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন না, এটা গতকাল রোববার বিকেলে জানার পর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তারা তাতে সাড়া দেননি। জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এসব দেশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে সরকার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, সরকার কিংবা রাজনৈতিক নয়, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় দিবস। এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে দেশের জনগণের আবেগ-অনুভূতি জড়িত। এমন একটি অনুষ্ঠানকে অবজ্ঞা করা বাংলাদেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতিতেই আঘাত করার শামিল। আর এ অনুষ্ঠান ইইউ রাষ্ট্রদূতদের দল বেঁধে বর্জন করার ঘটনাটি নজিরবিহীন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতরা। জাতীয় স্মৃতিসৌধে না যাওয়ার ঘটনাও তারই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে সরকার।
এইচ এন