দেশে বিরাজ করছে চরম রাজনৈতিক সংকট। জানমালের ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। সঙ্কট উত্তরণে দেশী বিদেশী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। চলমান পরিস্হিতিতে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পার্টির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) মোঃ ইব্রাহীম বীর প্রতীকের সাথে।
১৯৭১ সালে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে অসমান্য অবদান রাখেন। সন্মুখ সমরে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যা সমাধানে শান্তিচুক্তির জন্য অসমান্য ভূ’মিকা রাখেন। ভূ’মিকা রাখেন,পার্বত্যাঞ্চলে বাঙালীদের পুনঃবাসনেও। এসব উল্লেখযোগ্য অবদান ছাড়াও অনেক কাজ করেছেন এদেশের জন্য। আজো তার অন্যথা নেই।
তিনি ২০০৭ সালে দেশের সঙ্কটজনক পরিস্থিতি উল্লেখ করে তার রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বলেন, ১/১১ এর পর বাংলাদেশের রাজনীতি নির্বাসনে প্রায় । তখন দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের তাগিদ অনুধাবন করি । ৪ ডিসেম্বর আমরা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি নামে দলটি গঠন করি । আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো, দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনা। দলের স্লোগান হলো ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি”।
তিনি বর্তমান সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, দু’ বছর আগে থেকেই পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরুদ্ধে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করে আসছিল। তখন সরকার কর্ণপাত করেনি । সরকার রাজনৈতিক হীনমন্যতার কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল। এ সংকট থেকে উওরণের একমাএ উপায় হলো প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ কর্।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের রাজনীতি দর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। তাই রাজনীতিকদের আহ্বান জানাব, তারা যেন বদলায়। আর সেজন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো অর্থনীতি বেশীদূর এগোতে পারেনি।
তিনি কণ্যাণ পার্টির আদর্শ সম্পর্কে বলেন, আমাদের রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য হলো, সকলপ্রকার সমস্যার সমাধানে সফলতার সাক্ষর রেখে যাওয়া । তাই সকলকে আহবান জানাই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য। আমরা চাই, মেধাবীরা ও জ্ঞানী-গুণীরা রাজনীনিতে আসুক।
তিনি ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধে সহযোগিতার জন্য আমরা ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীনিতিবিদরা কৃতজ্ঞতার মাএা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের সকলেই চায় একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। মানুষকে জিম্মি করে তারা বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে চায়। ১৮ দলের আন্দোলন এখন সারা দেশের মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই আন্দোলন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশী নির্যাতনের প্রেক্ষিতে বলেন, সরকার র্যাব, পুলিশ, বিজিবি দিয়ে ভোর রাত ৪টায় ডাকাতের মতো আমাদের নেতা কর্মীদের আটক করছে। এটি সরকারে জন্য একটি লজ্জাজনক ব্যাপার।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি আইননানুগ ব্যবহার করেন, বিরোধীদল অবশ্যই আইনানুগ আন্দোলন করবে । আইনের অপব্যবহার করার কারণেই বিরোধীদল রাজপথে আসছে না ।
চলমান আন্দোলনের ক্ষেত্রে মন্তব্য করতে যেয়ে তিনি বলেন, সংগ্রামের নামে যা চলছে, এটি শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নয়। এই সংগ্রামের সাথে কিছু আদর্শ জড়িত। ধর্মীয় মূল্যবোধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা , সবাই মিলে একই সাথে বেঁচে থাকার ইচ্ছা ইত্যাদি বিষয় এর নাথে জড়িত।
পরিশেষে তিনি দেশবসীকে কল্যাণ পার্টিতে যোগ দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি গণতন্ত্রের, সাম্যের , মানবতার এবং ইনসাফের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বাংলদেশের রাজনীতির একটি বড় অংশ এই চেতনা গুলোকে একই সাথে স্বীকার করে না। তারা ইসলাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে একটি সংঘাত লাগিয়ে রেখেছে।আসেল তারা মুক্তি যুদ্ধের চেতনা থেকে মুসলমানদের আলাদা করতে চায়, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাজনীতি হলো, এই সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।