বিদায় ঘন্টা সন্নিকটে

0

Sayak Vi(1)সায়েক এম রহমান গত ক’দিন ধরেই পত্রিকা পড়তে ল্যাপটপ খুলতেই দেখা যায়- প্রেট্রোল বোমায় দগ্ধ মানুষের ছবি এবং গাড়িতে আগুন আর ক্রসফায়ারে নিহত আন্দোলনকারী নেতাকর্মী। এ যেন গোটা বাংলাদেশ একটি জ্বলন্ত উনুন। গাইবান্ধা, বরিশাল, কুমিল্লা সহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা এবং ক্রসফায়ারে নিহতদের পরিবারে আহাজারিতে দেশের বাতাস আজ ভারি, যেন হায়েনার আক্রমনে আক্রান্ত দেশ। এই পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৯৭ জনে পৌঁছেছে। সারা দেশে পেট্রোল বোমা, গাড়ি ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটছেই। সরকার বলছে বিরোধী দল পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারছে, বিভিন্ন টিভিতে অহরহ দেখানো হচ্ছে। অবশ্য ইতোমধ্যে পেট্রোলবোমাসহ সরকারি দলের কর্মীরাও গ্রেফতার হচ্ছে। তা টেলিভিশনে জাতি দেখতে পারছে না।
বিরোধী জোট নেতারা বলছেন, আমাদের অবরোধ শান্তিপূর্ণ, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চালবে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে গাইবান্ধা, বরিশাল, কুমিল্লা সহ বিভিন্ন স্থানে পেট্রোল বোমা হামলায় জড়িতদের সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাব জানাচ্ছেন তারা।
পাঠক, সরকার কিন্তু এদিকে কর্ণপাত না করে দলবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নে সরে পড়ায় প্রতিয়মান হয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দলীয় ক্যাডাররাই এই হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে ২০ দলীয নেতা যখন তাহার বিধবা পুত্রবধু ও নাতনীদেরকে নিয়ে পুত্র হারানোর বেদনায় শোকাহত, ঠিক তখন তাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, কার্যালয়ের, বিদুৎ ইন্টারেনেট ও কেবল লাইন বিছিন্ন করা, শাসক গোষ্ঠির এহেন আচরন গোটা বাংলাদেশ সহ বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সরকারের এমন পাশবিক আচরণ পৃথিবীর সকল স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের চলমান সংকটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সিংগাপুর ও মালয়েশয়া সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষণায় নিয়োজিত বাংলাদেশের ১৫ জন শিক্ষাবিদ। তারা বলেছেন গনতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বর্তমান সংকট সমাধান করা অতীব জরুরী। এছাড়া বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালযের ১০৩৭ জন শিক্ষক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে এখন সংলাপের বিকল্প নেই।
পাঠক, আজ বাংলাদেশের প্রায় সব রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সুশীলসমাজ, ডাক্তার শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবিরা বলেছেন- বিরুদ্ধ মতকে ইট ও বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার মত ঘৃন্য অপচেষ্টা, আর ৯০ এর পতিত স্বৈরচারকে গৃহপালিত বিরোধি দল হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক মুল্যবোধকে কার্যত সমাহিত করে ফেলেছে আওয়ামীলীগ সরকার। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তি গনমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমকে আওয়ামীলীগ আজ ফ্রিজ করে ফেলেছে। অতি সম্প্রতি তথ্য মন্ত্রনালয় টিভি চ্যানেলের মালিকদেরকে ডেকে এনে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে মর্মে সচিত্র প্রতিবেদন দেখানোর কড়া নির্দেশনা জারি করেছে। যার ফলে দেশের সঠিক কোন চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনার বাইরে সত্য প্রকাশ করতে গেলেই নেমে আসছে শাস্তি নির্য়াতন। এই যেমন পীর হাবিবুর রহমানের মতো একজন সিনিয়র সাংবাদিক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সরকারের সমালোচনা করায় বাংলদেশ প্রতিদিন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের পদ থেকে চাকুরী হারান, পত্রিকান্তে জানতে পেলাম। পীর হাবিব আমার বন্ধু মানুষ, সাথে সাথে ফোনে অনেক চেষ্টা করেও পেলাম না। এছাড়া ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আরও এক সাহসী সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর জনপ্রিয় টকশো ফ্রন্ট লাইন বন্ধ করে দেয় সরকার। তাই জনগন এখন মনে করে গৌরবউজ্জল আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আজ অবশিষ্ট আর কিছুই রইল না। ইতিহাসের কলংকিত নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা আওয়ামীলীগের রাজনীতীকে নি:শেষ করে দিয়েছে।
পাঠক আপনারা অবশ্য লক্ষ্য করেছেন, সরকার এই আন্দোলনকে দমানোর জন্য কিছু প্ল্যান আর কিছু নাটক নিয়ে এগোচ্ছিল। প্ল্যানগুলো হলো- বিশ্বইস্তেমা, মাধ্যামিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, একুশের বই মেলা এবং গণমাধ্যামকে ফ্রিজ করা। কোনটাই আন্দোলনকে দমাতে পারেনি। এখানে যে কয়টি উইকেট ছিল, সব কয়টি উইকেটই পড়ে গেছে বললেই চলে।
আর নাটকের প্রথম পর্বে ছিল ইট বালুর ট্রাক। এই নাটক মঞ্চস্থ হয় গত ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিরোধী দলের ডাকা সমাবেশকে পন্ড করা। এসময় বিরোধী দলের নেতা ও গনতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্ভট ইট ও বালুর ট্রাকে বন্দী করে রাখে, ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সরকারের মন্ত্রীরা মিডিয়ায় বলতে থাকেন খালেদা জিয়া ঘর বানানোর জন্য ইট বালু নিয়ে আসছেন, আর প্রধানমন্ত্রী বলেন- খালেদা জিয়া বন্দী নন, তিনি স্বেচ্ছায় সেখানে আছেন, আর কোন কোন মন্ত্রী বললেন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আবার বাহিরে যৌথবাহীনির দ্বারা বেষ্টিত খালেদা জিয়া যখন কার্য্যালয় থেকে বের হলেন সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য, তখন সরকার পৃথিবীর সকল আইন লংঘন করে জলকামান এবং পিপার স্প্রে ছোড়া শুরু করল, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বিশ্ব মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করল, জাতি স্তম্ভিত হয়ে পড়ল। ঐ দিনই নাটকটি ফ্লপ হল।
এবার আরম্ভ হল নাটকের দ্বিতীয় পর্ব। এই পর্বে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সংবাদ- এ সংবাদ পাওয়ার পরে যখন মা খালেদা জিয়া পুত্র শোকে অচেতন অবস্থায় ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে আসবেন বলে তার পিএস ফোন দিলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বললেন, “ম্যাডাম খুবই অসুস্থ আছেন ডাক্তার তাকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পড়িয়ে রাখছেন, এখন আপনারা আসবেন না। ঘুম থেকে উঠার পর আজ রাত অথবা কাল সকালে আমি জানাব কখন আপনারা আসবেন”। তারপরও শেখ হাসিনা এসে ৯ মিনিটের একটি নাটক মঞ্চস্থ করে গেলেন। এই নাটকটিও ফ্লপ হল। তার প্রমাণ তিনি যদি সত্যিই সমবেদনা জানাতে এসে থাকেন, তাহলে ঐদিন আরাফাত রহমান কোকোর জন্য নয়াপল্টনের কার্য্যালয়ে মিলাদ পড়াইতে চাইলে তার অনুমতি দেয়া হয় নাই কেন? দ্বিতীয়ত আরাফাত রহমান কোকোর অধিকারভূক্ত কবরস্থান থেকে বঞ্চিত করা হল কেন? জনগণ এর সবই অবলোকন করেছে।
নাটকের তৃতীয় পর্ব শুরু হল বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিছিন্ন করার মাধ্যমে। এ সময় শোক বিহ্বল মাতা বেগম খালেদা জিয়া যখন পুত্র শোকে আচ্ছন্ন গত ৩১ জানুয়ারি রাত প্রায় তিনটার দিকে তার কার্য্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া হয়। এরপর ইন্টারনেট ও ডিস সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। সে দিন জনগণ হতবাক হয়ে গেল, বিশ্ব তাকিয়ে দেখল সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রীকে কিভাবে সরকার জনগণ থেকে বিছিন্ন করছে আন্দোলনের ভয়ে, ক্ষমতার লোভে। এই ঘটনার পর বাংলাদেশের তৃনমূল থেকে শুরু করে বিশ্ববিবেক পর্যন্ত বুঝার আর বাকী রইল না “বন্দী খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের কেমন ভয় আর আতংক”। শেষ পর্যন্ত এই নাটকও ফ্লপ করল।
নাটকের বর্তমান পর্বে চলছে গুলশান কার্য্যালয়ের সামনে লোক সমাগম, পাঠক আপনারা অবগত আছেন যে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ইমরান এইচ সরকারের মাধ্যমে বসানো হয় “গণজাগরন মঞ্চ” সেটি ছিল সরকারের আংশিক নিয়ন্ত্রনে। আর এবার তাদের পরিকল্পনায় সম্পূর্ন নিয়ত্রিত আর একটি মঞ্চ বানানো অন্য কোন নামে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে পুলিশ প্রহরায় মাঠে নামানোর চেস্টা করা হচ্ছে কিন্তু সফল হচ্ছে না। প্রতিদিনই কার্য্যালয়ের সামনে লোকজন জমায়েত করা হচ্ছে, গান বাজনা করা হচ্ছে, আর প্রতিদিনই ফ্লপ হচ্ছে। এখন নতুন সংস্করন হচ্ছে দেয়ালের উপরে কাটাতারের বেড়া এটা আবার কোন প্ল্যান তা দুই একদিন পরে বুঝা যাবে।
পাঠক, নাটক তাদের সবগুলিই ফ্লপ হচ্ছে এখন রয়েছে মাত্র অর্ধজীবিত একটি উইকেট। আর তা হল “অতি উৎসাহী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে দলীয় ক্যাডারদের র্নিবিঘ্নে সরে পরার ব্যবস্থা করে দেয়া। সোমবার কয়েকটি অনলাইন পত্রিকার খবরে ছিল বোমা হামলায় ছাত্রলীগ। যেমন: এক. শীর্ষ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয় “গত বৃহস্পতিবার ৫ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের কেসকি মোড় এলাকায় মানিক ও বাবুল নামে দুই যুবলীগ নেতাকে বোমা বানানোর সময় আটক করেও ছেড়ে দেয় পুলিশ। দুই. ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউ আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে তিনটি হাত বোমার বিস্ফোরন ঘটে। এসময়ও পুলিশ একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করে ছেড়ে দেয়। তিন. নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ছোনাব এলাকায় বোমা বানাতে গিয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের চার নেতা গুরুতর আহত হয়, একজনের অবস্থা আশংকা জনক। এছাড়া গত রোববার চট্রগ্রামের আগ্রাদ পিজিএম কলোনী আওয়ামীলীগ অফিসে পরিত্যক্ত অবস্থায় দশটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ, ডবল মুরিং থানার এসআই আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পাঠক এভাবে অনেক প্রমাণ আপনারা এখন পাচ্ছেন।
এখন জনগন প্রশ্ন করতে চায় প্রতিদিনই প্রধান মন্ত্রী টেলিভিশন এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জোর গলায় বলেন, বিএনপির নেত্রী মানুষ পুড়ে মারছে, ওরা সন্ত্রাসী, ওরা জঙ্গী। এখন পরিস্কার হতে যাচ্ছে কারা মানুষ পুড়িয়ে মারছে; কারা যাত্রাবাড়ি, গাইবান্ধা, বরিশাল, কুমিল্লায় পেট্রোল বোমা ছুড়েছে। এই অমানবিক কাজগুলি কারা করছে – জনগণের নিকট তা পরিস্কার।
অপরদিকে আরাফাত রহমান কোকোর ঐতিহাসিক জানাযায় লাখ লাখ মানুষের ঢল দেখে দিশাহারা হয়ে গেছে আওয়ামীলীগ সরকার। কারন তাদের আজ বুঝতে বাকি নেই যে শীহদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জনতার এই ঢল। তাই তারা আন্দোলন দমাতে না পেরে, উম্মাদ হয়ে বাংলাদেশ নামের জনপদকে কারাগারে পরিনত করছে, প্রতিদিন বন্দুক যুদ্ধের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে। এখন ইট-বালুর ট্রাক রেখে, পিপার স্প্রে, জলকামান দিয়ে, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিছিন্ন করেও আন্দোলন দমাতে পারছে না। কারন এ আন্দোলন এখন আর ২০ দলের আন্দোলন নয়, এটি এখন জনগনের আন্দোলনে পরিনত হয়েছে, এক দফায় রূপ নিয়েছে এবং সরকারের বিদায় ঘন্টা সন্নিকটে।
জনগন এখন মনে করে লাশের সারি আর লম্বা না করে, বার্ন ইউনিটে নিরীহ মানুষের সংখ্যা না বাড়িয়ে এই মূহুর্তে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পারেন দেশকে সংকট থেকে উদ্ধার করতে। দরকার তাহার একটু উদারতা, একটু সাহস। তার একটু উদারতা, সহমর্মিতা ও একটু সহানুভুতিতে দেশের ১৬ কোটি মানুষ বেঁচে যাবে, বেঁচে যাবে দেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামীলীগ।
যদি তা না করেন তবে যে কোন মুহূর্তে গণবিস্ফোরণে বিদায়ের ঘন্টা বাজবে। গণআন্দোলন যেভাবে দানা বেধে উঠছে, তা যে কোনো সময় গণবস্ফোরণে রূপ নেবে। বিজয় ছাড়া আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই তাদের প্রধান লক্ষ্য, বিজয় তাদের সুনিশ্চিত।
লেখক: যুক্তরাজ্য প্রবাসী
Email: sayakurrahman@hotmail.com

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More