শান্তিপূর্ণভাবে শনিবার বিক্ষোভ সফলের আহ্বান ঢাকা মহানগর বিএনপির

0

39655_bশনিবার ঢাকা মহানগরে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফলের আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান মির্জা আব্বাস সোহেল।
ঢাকা মহানগর বিএনপি আহবায়ক মির্জা আব্বাস এবং সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার প্রধান থেকে শুরু করে তাঁর মন্ত্রি সভা, রাষ্ট্রীয় আইন-শৃক্সখলাবাহিনীর দলবাজ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের শত উস্কানি সত্তে¡ও ২০-দলীয় জোট অসংখ্য নেতা-কর্মীর রক্তের ওপর দাঁড়িয়েও চরম ধৈর্য্যরে সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়, যেটি পাঠিয়েছেন মির্জা আব্বাসের প্রেসসচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
নেতৃদ্বয় বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সকল রাজবন্দির মুক্তি, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্দার, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং দেশব্যাপী ক্রসফায়ারের মাধ্যমে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুলি করে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে পঙ্গু-আহত করা, দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতার, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণ, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার ঢাকা মহানগরের প্রতি ওয়ার্ডে যে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তা শান্তিপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীসহ নগরবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা আব্বাস ও হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, সরকার শুরু থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোনো মৌলিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করতে দিচ্ছে না। উপরন্ত জোট নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে ৪০ দিন তালা আটকে অবরুদ্ধ করা থেকে শুরু করে তাঁর ওপর পিপার স্প্রে নিক্ষেপ, কার্যালয়ের বিদ্যুৎ লাইনসহ সব সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখার পর সর্বশেষ খাবার ও পানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে। আইন-শৃক্সখখলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গত এক সপ্তাহ ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে ভাড়াটে লোক দিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশের নামে তাঁকে গালিগালাজ করা এবং কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারার মতো একের পর এক চরম উস্কানিমূলক কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এতকিছুর পরও ২০-দলের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য্যরে সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সরকার ও তাদের পা চাটা দালালদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটেছে। তারা নতুন সংসদ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নিরীহ মানুষজনের ওপর পেট্রলবোমা মেরে তার দায় ২০-দলের ওপর চাপাচ্ছে।
আমরা মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্দারের আন্দোলন এখন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় ২০-দলের নেতা-কর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের মানসিকতা নিয়ে শেষ ধাপের আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
খুনিদের সঙ্গে কীসের সংলাপ?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, খুনের রাজনীতি বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ করে। তাদের অতীত ইতিহাস তা-ই বলে। নেতারা বলেন, বিএনপি বানের পানিতে ভেসে আসা কোনো দল নয়। দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে এই দল তিনবার ক্ষমতায় এসেছে। কেউ যদি ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে বিএনপিকে খুনি-জঙ্গি দল হিসেবে আখ্যা দেয়, তাহলে তারা বোকার ¯^র্গে বাস করছে। সংকট নিরসন করতে চাইলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপ করতে হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More