ঢাকা: ২০১৫ বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগে ভারতের সবচেয়ে বড় চিন্তা মোহাম্মদ ইরফানকে ঘিরে।
পাকিস্তান পেসারের অতিরিক্ত উচ্চতার কথা ভেবেই অন্যরকম অনুশীলনও করেছে টিম ইন্ডিয়া। তাছাড়া দীর্ঘাদেহী পেসারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিবিড় বিশ্লেষণও করেছে তারা। কিন্তু কোথা থেকে উঠে এলেন এই দৈত্য বোলার? বিশ্বে তার মতো লম্বা আর কোনো ক্রিকেটার আছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেছি আমরা।
পাকিস্তান ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইরফান। ৭ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতা তার। পাঞ্জাবের গাগ্গু মাড্ডি শহরে জন্ম। সেখানে চাকুরির খুব অভাব ছিল। ফলে প্রাদেশিক শহরে পাড়ি জমান। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য প্লাস্টিক কারখানায় কাজ নেন। এসময় খেলতে খেলতে এক সময় আকিভ জাভেদের নজরে পড়েন। জায়গা হলো লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে।
২০০৯ সালের অক্টোবরে খান রিসার্স একাডেমির হয়ে ঘরোয়া লিগে খেলা শুরু করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেট দখল করেন। পুরো মরসুমে পান ৪৩ উইকেট। তাকে পাকিস্তান দলে ডাকা হয় এক প্রকার বাধ্য হয়ে। সোস্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের দাবির ঝড় ওঠার কারণে। মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির নিষিদ্ধ হওয়ায় ২০১০ সালে জাতীয় দলে ডাক পান। জোয়েল গার্নার ভক্ত ইরফান প্রথম ম্যাচে ভালো খেলেননি। ৫.৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ফেলেছিলেন। ফিল্ডিংও ছিল ভয়াবহ। যা দেখে শহীদ আফ্রিদি মাঠেই রাগারাগি করেন।
এখন অবশ্য পরিস্থিতি বদলে গেছে। পাকিস্তান অধিনায়কের অন্যতম ভরসার স্থান ইরফানের বোলিং। মাঝে ২০১১ সালে ওয়াসিম আকরাম পাক এই পেসারকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলানোর জন্য তোড়জোড় করেন। কিন্তু যেহেতু পাক ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার ওপর বিধিনিষেধ আছে শেষ পর্যন্ত তাই সেটা সম্ভব হয়নি।
ইরফানের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল গার্নার ও অস্ট্রেলিয়ার ব্রুস রিড সবচেয়ে দীর্ঘাদেহী ক্রিকেটার ছিলেন। তাদের দুজনের উচ্চতা ছিল ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। কার্টলে অ্যামব্রোস ও টম মুডির উচ্চতা ছিল ৬ ফিট ৭ ইঞ্চি করে। নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ওরামও বেশ লম্বা ক্রিকেটার ছিলেন।