ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে আবার নির্বাচন দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে, চলবে। আগামী সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়েই হবে। নির্বাচনের পরেও আলোচনা হবে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়া হবে।’
তবে বিরোদী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়াকে হরতাল অবরোধ নৈরাজ্যকর কর্মসূচি বর্জন এবং স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগের শর্ত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ ডিসেম্বর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করায় ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ১৫৪ প্রার্থী। সুতরাং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে মাত্র ১৪৬ আসনে। আর এসব আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের তেমন কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এছাড়া সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম ১৫১ আসন লাগে। সে হিসাবে, নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় আসন পেয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। আর একারণেই দেশে বিদেশে এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে।