জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে সংলাপে বসতে দুই নেত্রীকে আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে লেখা পৃথক দুই চিঠিতে বান কি মুন এ আহবান জানান।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীকে গত ৩০ জানুয়ারির তারিখে চিঠিটি লিখেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিটি পৌঁছানো হয় এর কয়েকদিন পরে। একই সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে, তারা গত সপ্তাহে বান কি মুনের চিঠিটি পেয়েছেন। আবার বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, তাদের কাছেও গত সপ্তাহে চিঠি পৌঁছেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ যে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে তা বান কি মুন তার দুই চিঠিতেই উল্লেখ করেছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ অন্যতম শীর্ষ দেশ হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন। চিঠিতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটজনক পরিস্থিতি ও নিরীহ মানুষসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগের কথা বলা হয়।
বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে সংসদের বাইরের বিরোধী দলকে নিয়ে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার কাছে লেখা চিঠিতে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহবান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে চলমান সংকট সমাধানে তারানকোকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি উভয় চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে গতকালও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আসে। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, বাংলাদেশে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে মহাসচিব উদ্বিগ্ন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, তারানকোকে এখন আবার ঢাকায় পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে নেই। মহাসচিবের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি শুধু বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং তিনি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।