যশোরের মণিরামপুরের বেগারিতলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাইদ ও বজলু নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ শেষে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি ও বোমা উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। নিহত দুজনই জামায়াত-শিবিরকর্মী বলে পুলিশ জানালেও দলীয় সূত্র ও স্থানীয়রা বলছেন- এরা বিএনপিরকর্মী।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেশমা শারমিনবলেন,মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জয়পুর গ্রামের জামায়াতকর্মী সাইদ ও বজলুকে আটক করে মণিরামপুর থানা পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে এক বছর আগে বাড়িঘরে আগুন দেয়া ও অন্যান্য অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে।
রেশমা শারমিন বলেন, আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আটক দুজনকে নিয়ে রাত ৩টার দিকে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারের অভিযানে যায়। উপজেলার বেগারিতলায় পৌঁছলে সেখানে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের হটিয়ে দেয়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে সাইদ ও বজলু মারা যায়। নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ মণিরামপুর থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে নয়টি হাতবোমা, ১২টি পেট্রলবোমা, একটি ওয়ানশুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ দাবি করেছে, নিহত দু’জনই জামায়াত-শিবিরেরকর্মী। তবে এলাকাবাসী জানান, তারা বিএনপিকর্মী ছিলেন। জামায়াত নেতারাও একই দাবি করেছেন।
মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল বলেন, নিহত দু’জনই বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণার পর জয়পুর গ্রামে সহিংসতা হয়। সে সময়ে করা গণমামলার আসামি ছিলেন এই দুইজন।