যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ ফিলিস্তিনের গাজায় এখন শুধুই গোলাবারুদের পোড়া গন্ধ। তবুও গাজাবাসী বেঁচে আছে প্রতিদিন আকাশের বুকে নতুন এক একটি সূর্যের আগমন দেখার জন্য। রাতে ঘুমানোর আগেও কেও জানেনা আগামীকাল সে বেঁচে থাকবে কিনা। তবুও মেধা আর যোগ্যতার দিক দিয়ে যেন পিছিয়ে নেই ফিলিস্তিন।
প্রতিমুহূর্তে শত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে সাহসী এই জাতি। সেই গাজার এক বিস্ময় বালক খালেদ আবু মুসা। জন্ম থেকেই অটিজমে ভুগছে খালেদ। মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরা নাকি বিভিন্ন দিক দিয়ে থাকে অসাধারন! তাই তাদের বলা হয় বিশেষ শিশু। আবারো যেন তা প্রমাণ করল খালেদ আবু মুসা।
নিজের অসাধারণ শ্রবণশক্তি আর মুখস্তশক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাত্র এক বছরের মধ্যে ৩০ পাড়া কোরআন আত্মস্থ করে বিশ্বের বুকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিস্ময় বালক খালেদ আবু মুসা।
তুরস্কের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘ডেইলি সাবাহ’ ওয়েব সাইটে এমনই একটি খবর দিয়েছে। খবরে প্রকাশ, গাজার অটিস্টিক স্কুলের শিক্ষা বিভাগের প্রধান নাদভাহ আবদুল আল জানিয়েছেন, ওই স্কুলের ১০ বছরের বালক খালেদ আবু মুসা পবিত্র কোরআনের আয়াত শ্রবণের মাধ্যমে পুরো কোরআন শরীফ মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে। শিশু খালেদ মুসাকে তার শিক্ষকরা কোরআনে আয়াত কয়েকবার করে তেলাওয়াত করে শোনাত। এভাবে বারংবার তার উদ্দেশ্যে কৃত কোরআন তেলাওয়াত শোনে সে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
খালেদ মুসা বর্তমানে লিখতে ও পড়তে পারে। অথচ অটিস্ট শিশুদের জন্য এ ধরনের কাজ একটু কষ্টসাধ্য ও দূরহ বিষয়। হয়ত ভবিষ্যতে বিশ্বের বুকে আবারো নতুন কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এই শিশু।
সূত্রঃ ইন্টার্নেট