টিভি,পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে গত দশ বছরে মোবাইল কোম্পানী বাংলালিংক এর সাফল্য গাঁথা । ব্যবহার করে ফেলেছে সাকিব আল হাসানকেও । এবার আমি বলছি তাদের সাড়ে সাত বছরের কুকর্মের কথা।
বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত শিল্পীদের গান তারা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করেছে বিনা অনুমতিতে বেআইনী ভাবে। মাস শেষে প্রতি ওয়েলকাম টিউনের বিপরীতে বত্রিশ টাকা , প্রাথমিক ডাউন লোডের সময় কেটে নেয় প্রায় বিয়াল্লিশ টাকা । বাংলাদেশের গীতিকার, সুরকার শিল্পীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেই শত শত কোটি টাকা গিলে ফেলেছে বছরের পর বছর । তাদের প্রতিষ্ঠিত সিষ্টার কনসার্ন মবিজোন। বাংলালিংক এর টাকা লোপাটের মাধ্যম এই মবিজোন। শুধু আমার গানই ব্যবহার করেছে ৭৬৮ টি । নানান প্যাকেজ দিয়ে তরুণ প্রজন্মের একটা অংশকে রাত জাগিয়ে রেখেছে। তৈরী করেছে একটি ঘুমন্ত প্রজন্ম ।
সারা দেশে অসংখ্য মোবাইল টাওয়ার তৈরী করে জনস্বাস্থ্যকে ফেলেছে হুমকির মুখে। এই মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান থাকার কথা জনবসতির অন্তত তিনশো মিটার দূরে । কিন্তু শোভা পাচ্ছে বাড়ীর ছাদে,যা পৃথিবীর কোথাও দেখা যায় না। গাছগাছালী মরে যাচ্ছে, শিশুর জন্ম হচ্ছে শারীরিক ত্রুটি নিয়ে। আরো অনেক কিছু। এজেন্ডাধারী পরিবেশবাদীরা নিশ্চুপ। পত্রিকা, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপনের নেশা, কোনদিন লিখবেনা,দেখবেনা। এরা সবাই বাংলালিংকের বাম পকেটে। নিজেই রেডী হও নতুন ভালো কিছু করার জন্য বাংলালিংক। দেখা হবে আদালতে খুব শীঘ্রই । পকেটস্থ মিডিয়াও তোমাদের বাঁচাতে পারবেনা। বিদেশী বেনিয়ারা এখন রাষ্ট্র দখল করতে আসেনি। এসেছে অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য খাওয়ার জন্যে।