গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী করা হয়েছে বলে সরকার দাবি করেছে। তাহলে বইমেলার অদূরে টিএসসিতে ব্লগার অভিজিৎকে নির্মমভাবে নিহত হতে হলো কেন? রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনী কি শুধু সরকার এবং এমপি-মন্ত্রীদের নিরাপত্তার জন্য?’
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
পুলিশের বক্তব্যে আমাদের ক্ষোভকে শুধু বাড়িয়েই চলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্য বলেছেন, তিনি ভেবেছেন ক্যাম্পাসের ছাত্ররা মারামারি করছে। তাই তিনি এগিয়ে যাননি। মারামারি থামানো কি তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।’
এসময় আরো বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার, বাসদ সদস্য মারুফ নন্দী, বাসদের আহ্বায়ক হামিদুল হক, নারী নেত্রী মোশরেফা মিশু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অদূরে লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। সেসময় অভিজিতের সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী রাফিদা আহম্মেদ বন্যাও সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন।