বাংলাদেশ সংকট নিয়ে কেরিকে ১১ কংগ্রেসম্যানের চিঠি নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে তা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির কাছে চিঠি লিখেছেন মার্কিন কংগ্রেসের ১১ সদস্য। চিঠিতে তারা সহিংসতার পথ বন্ধ করে সমস্যা সমাধান করতে জন কেরিকে বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। ৩ মার্চ লেখা ওই চিঠিতে তারা লিখেছেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু হিসেবে দেশটিতে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রে সহায়ক মার্কিন এবং আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পেছনে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্ধু রাষ্ট্র এবং দেশটি দারিদ্রতা, উন্নয়ন এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে। আমাদের দু’দেশের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধন গঠনে অনেক বাংলাদেশি-আমেরিকান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এখনও তা করে যাচ্ছে। তবে, আমরা উদ্বিগ্ন, বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা সহিংসতা আর দীর্ঘমেয়াদী দ্বন্দ্বের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। বাংলাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধিতে সহিংসতার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। গণতান্ত্রিক দেশে মতপার্থক্য মোকাবেলা করতে হবে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। একইসঙ্গে যারা দেশের ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চেষ্টা করছে তাদের জন্য সুযোগ বজায় রাখা নিশ্চিত করাটা রাজনৈতিক নেতাদের কর্তব্য। এ ধরণের আদান-প্রদান ব্যতিত, ‘জনগণের সরকার’ আর ‘জনগণের দ্বারা সরকার’ প্রশ্নের মুখে পড়বে। চিঠির শেষে কংগ্রেসম্যানরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইস্যুতে কেরির সম্পৃক্ততার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়ার জন্য মার্কিন সহায়তার বার্তা দেয়ায় কেরিকে ধন্যবান জানান তারা। গভীর উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহতভাবে যুক্ত থাকতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন ওই ১১ কংগ্রেসম্যান। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী কংগ্রেসম্যানরা হলেন: জোসেফ ক্রাউলি, স্টিভ শ্যাবোট, এলিয়ট এল. এনজেল, পিটার টি কিং, মাইকেল হোন্ডা, জেমস পি ম্যাকগভার্ন, হোজে ই সেরানো, জেরাল্ড ই কনোলি, আর্ল ব্লুমেনয়্যার, গ্রেস মেং ও উইলিয়াম আর কিটিং।