বগুড়া শহরের সাবগ্রাম বন্দর যুবলীগের সভাপতি মানিককে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় রাফি (২২) নামে আরেক যুবলীগকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম এলাকায় হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা এক যুবদলকর্মীর বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
মানিক সাবগ্রাম এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মানিককে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাবগ্রাম বন্দরে একটি মসজিদের কাছে মানিক ও রাফি দাড়িয়ে গল্প করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দু’জনকেই কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত রাফি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ছাড়াও তার নাক কেটে পড়ে গেছে।
এ ঘটনার পর পরই যুবলীগ নেতাকর্মীরা সাবগ্রাম এলাকায় কয়েকটি হিন্দু পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার জুয়েল দাস মানিক হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে। এ কারণে জুয়েল ও তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। জুয়েলের বিরুদ্ধে ৪-৫টি হত্যা মামলা রয়েছে।
মানিক হত্যার পর পরই সাবগ্রাম বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।