ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনাস্থল, টিএসসি এবং বাংলা একাডেমি এলাকা পরিদর্শন করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্ত দল। এ সময় তারা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি যুক্ত হওয়ায় হত্যা রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশা করছেন নিহতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়। আর বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে তদন্তের কাজ করবে দুই সংস্থা।
শুক্রবার দুপুর একটার দিকে এফবিআই তদন্ত দল প্রথমে টিএসসির পাশে যেখানে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী হামলার শিকার হন সেখানে যান। এরপর তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যান এফবিআই সদস্যরা। একাডেমি থেকে বেরিয়ে ফুটপাত ধরে তারা ফিরে আসেন ঘটনাস্থলে। এ সময় গোয়েন্দারা সংশ্লিষ্ট এলাকার ছবি তোলেন এবং বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে তারা সাংবাদিকদের জানান, এফবিআই’র কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে ডিবি।
ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, ‘এফবিআই’র তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি সংগ্রহ করেছে। পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে রহস্য উদঘাটনে আমরা একত্রে কাজ করবো।’
অভিজিৎ মার্কিন নাগরিক হওয়ায়, এফবিআই’র অন্তর্ভুক্তি এই মামলার তদন্তে কার্যকর অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন অভিজিৎ এর বাবা।
নিহতের বাবা অজয় রায় বলেন, ‘যেহেতু এফবিআই তদন্তের সাথে যুক্ত হয়েছে তাই বেশ আশাবাদী। এরা তদন্তের শেষ দেখে যাবে।’
এদিকে, হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা ২৬শে ফেব্রুয়ারি গ্রন্থ মেলা থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। পরে হাসপাতালে মারা যান অভিজিৎ।