ঢাকা: রাজধানীতে শিক্ষা ভবনের সামনে আওয়ামী লীগের মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিছিলকারীরা ককটেল নিক্ষেপের অভিযোগে তিনজনকে মারপিট করে পুলিশের সোপর্দ করে। আহতরা হলেন— ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের (দক্ষিণ) সদস্য নাজমুল হাসান (৪৩), রামপুরা থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবু তাহের (৫৫), রামপুরা থানার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক আলকাছ আলী (৫২), রামপুরা থানার জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম (৫৫), রামপুরা থানার ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সেলিম হোসেন পা্ন্নু (৫২), আওয়ামী লীগের কর্মী মো. স্বপন (২৪), মো. লিখন (১৮), আলফাজ উদ্দিন (৫০), মো. ওবায়দুল (২২) ও আবদুল কুদ্দুস (৪৮)। এদের সবার পায়ে ককটেলের ছিন্ন অংশ বিদ্ধ হয়েছে। সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। রামপুরা থানার জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম জানান, তারা রামপুরা থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি সচিবালয়ের পাশের আবদুল গণি রোডের শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছালে একটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তারা আহত হন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, ককটেল বিস্ফোরণের পর সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে মারধর করেছে আ.লীগ কর্মীরা। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনারুল হক বলেন, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা তিনজনকে আটক করে মারধর করে পুলিশে দেয়। পরে তাদের ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। মারধরের শিকার তিনজন হলেন—নাজমুল হোসেন (৩০), রইসউদ্দিন (২৯) ও আদর হোসেন (৩০)। ৭ মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।