বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের একটি দল আটক করে নিয়ে গেছে বলে দাবি পরিবার ও দল। মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদের পরিবার আমাকে (সালাহ উদ্দিন আহমেদকে) আটকের বিষয়টি জানিয়েছে।’
পরে সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলামেইলকে বলেন, ‘গতকাল রাত ১০টার দিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন লোক উত্তরার বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে দাবি করে।’
তিনি বলেন, ‘সারাদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। কিন্তু কেউ বিষয়টি স্বীকার করেনি।’
এদিকে দলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে পুলিশ, ডিবি ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
এসময় তার বাসার একজন পুরুষ ও একজন নারী গৃহকর্মীকেও নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এমন কি তাকে গ্রেপ্তারও দেখানো হয়নি। এতে তার পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দল ও জোটের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা ও বিবৃতি প্রদানের জন্যই সরকার বিরাগভাজন হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
যদিও পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে- এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
ডিএমপির মিডিয়া সেলের সহকারী কমিশনার ইফতেখার বাংলামেইলকে জানান, সালাহ উদ্দিনের আটকের বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। এছাড়া পুলিশ তাকে আটক করেনি বলেও তিনি জানান।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়েছে কি না সে বিষয়টি আমি জানি না। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে কেউ যদি তাকে আটক করে থাকে তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মুখপাত্র আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ বাংলামেইলকে জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমেই এ বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।’