কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের চলমান পৌরসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বামপন্থী সিপিএম এবং বিজেপি।
শনিবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য জামায়াতকে ব্যবহার করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে আগেই উঠেছে। এ বার পৌরভোটেও তাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল।
শনিবার রাজ্যের ৯১টি পৌরসভায় ভোট। তার আগের দিন শুক্রবার রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে পৃথকভাবে দেখা করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা অভিযোগ করে এসেছেন, জামায়াত নেতা নূরুদ্দিন আলি নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছেন।
জেলার পুলিশ সুপার তার অধস্তন অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, তার উপর উপরতলার চাপ আছে। ফলে নূরুদ্দিনের কাজকর্মে যেন বাধা দেওয়া না হয়।
বিরোধীদের বক্তব্য, শাসকের চাপে পুলিশকর্তাই যেখানে দেশবিরোধী শক্তির দাপাদাপির সামনে অসহায়, সেখানে আমজনতার নিরাপত্তা কতটুকু এবং ভোট কত অবাধ হবে, তা সহজেই অনুমেয়। শাসক দল বিরোধীদের অভিযোগ ‘আজগুবি কল্পনাপ্রসূত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এ দিন সূর্যবাবু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে নূরুদ্দিন প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘’আমাদের কাছে এই বিষয়ে যা খবর আছে, তা রাজ্যপালকে জানিয়ে অনুরোধ করেছি, যাতে তিনি খবরটার সত্যতা যাচাই করেন।’
সূর্যবাবু রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরে তার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। রাহুলবাবু, শিশির বাজোরিয়া, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সেই দলে ছিলেন।
রাজভবন থেকে বেরনোর পরে রাহুলবাবু বলেন, ‘গত ১৭ এপ্রিল নদিয়ার এসপি অর্ণব ঘোষ ওসিদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, তৃণমূলকে যেন সহযোগিতা করা হয়। নূরুদ্দিন বাইরে থেকে দু’ হাজার লোক নিয়ে রিগিং (কারচুপি) করতে এসেছে। এসপি বলেছেন, তাকে যেন ঘাঁটানো না হয়। রাজ্যপাল বলেছেন, খানিক ক্ষণ আগে তার কাছেও তার সূত্র থেকে একই খবর এসেছে!’
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল নূরুদ্দিন প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ শুনেছেন এবং তা মাথায় রেখেছেন।