ঢাকা: নির্বাচন চলাকালীন সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের নির্ধারিত কার্ড দেয়া হয়। এতে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার নাম এবং ওই সাংবাদিকের ছবিসহ নির্বাচন কমিশন থেকে সত্যায়িত করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার সারাদিন সেই কার্ড নিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে পরিদর্শন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ। এ সময় তার সঙ্গে সরকার দলীয় মেয়রপ্রার্থী সাঈদ খোকনের কর্মী-সমর্থকদের দেখা যায়।
সোহাগের গলায় সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দকৃত ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন কার্ড দেখে অনেকেই বলছেন, ক্ষমতাশীন দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের সভাপতিকে সাংবাদিক হিসেবে কার্ড নিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যাওয়া উচিৎ হয়নি।
ইসমাইল সিরাজী নামে একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেছেন, ‘তিনারাও সাংবাদিক? নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সাংবাদিক সহজেই কার্ড পেয়েছে এমন রেকর্ড আছে কি না জানি না, আমার তিনদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি- শীর্ষস্থানীয় টিভি, পত্রিকা ও অনলাইন কার্ড পেতে যে কত হয়রানির শিকার হয়েছেন তা বলার নেই। কিন্তু তাদের…?’
সিরাজী আরো বলেছেন, ‘উনিতো (ছাত্রলীগ সভাপতি) একজন মেধাবী ছাত্র ও যোগ্য নেতা। তার থেকে এমনটি আশা করা যায় না, যেমনটি অন্ডার ডিগ্রি পাস সাংবাদিকরা করে। সোহাগ ভাই একজন জাতীয় নেতা, তাকে সবাই নেতা হিসেবেই দেখতে বেশি পছন্দ করে।’
শফিকুল গণি আসিফ লিখেছেন, ‘ভাইরে এখন সাংবাদিক হতে ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না! ছাত্রলীগের অর্থসম্পাদক রাসেল ভাই, শিক্ষা সম্পাদক আশিক, আমার বন্ধু রুহান তিনজনই তিনটি অনলাইন পত্রিকার মালিক! আমার এলাকায় যারা আঞ্চলিক রিপোর্টার তারা একজনও ডিগ্রি পাস করেছে কি না সন্দেহ। কিন্তু তারা বাংলাদেশের নামকরা সব পত্রিকার রিপোর্টার।’
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের মন্তব্য নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।